এবার নামেমাত্র ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার কাছে। এই আসনে কুজেন্দ্র লাল ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
এরপরও আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে নির্বাচন করার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
জানা যায়, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতিই সোলায়মান শেঠের। সমতল-পাহাড়ের পার্বত্য জেলাটির বিভিন্ন উপজেলার আনাচে কানাচে পৌঁছে দেন তার ব্যানার-পোস্টার। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে নিয়ে তৈরি করা হয় গান।
ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে মডেল খাগড়াছড়ি গড়তে তার পক্ষে ভোটও চাওয়া হয়। নির্বাচনী শোডাউন কিংবা ডিজিটাল প্রচারণাও ছিল দেখার মতো। তবে তার কিছুই কাজে আসেনি।
খাগড়াছড়ি জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, কথা দিয়ে যদি কেউ কথা না রাখে তাহলে বলার কিছু থাকে না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি। এখন শেষ ভরসা যাদের ওপর সেই জনগণ-ই যদি মূল্যায়ন না করে তাহলে আর কিছু করার থাকে না।
গত দশম সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন সোলায়মান আলম শেঠ। তখন ৮ হাজার ১৮০ ভোট পান তিনি। আর এবার পেয়েছেন তার চার ভাগের একভাগ ভোট (২ হাজার ৩৪৩)। তবে এখনও তিনি আশাবাদি।
সাংবাদিকদের সোলায়মান শেঠ বলেন, ‘যে পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার কথা বলা হচ্ছে আসলে বাস্তবে তা নয়। ভবিষ্যতেও আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখবো।
এবার খাগড়াছড়িতে মোট পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বিএনপির শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল জব্বার গাজী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন কুমার চাকমা।
উল্লেখ্য, সোলায়মান শেঠ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েও হেরেছেন।
বাংলাদে সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এডি/এমএ