তিনি বলেন, বিরোধীদলতো আছেই, গতবারও ছিল। তবে ঐক্যফ্রন্টের ৭ জনও সংসদে বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।
বুধবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আগামীকাল এমপিদের শপথ হবে। এরপর আমাদের সংসদীয় দলের সভা হবে। সেই সভায় আমরা আমাদের নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবো। এরপর রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। এটাই নিয়ম।
এবার ঐক্যমতের সরকার হবে কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।
বিরোধীদলে কারা থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিরোধীদলতো আছেই, গতবারও ছিল, তারাতো আছেই। তাছড়া এবার ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন আছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন শপথ নেবেন না। তবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কিনা সেটাও দেখতে হবে। তাছড়া ঐক্যফ্রন্টে আবার গণফোরামের দু’জন রয়েছেন। তারা শপথ নেবেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়।
জাপার সঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, এখনো হয়নি, তবে আলোচনার এখনই সময়।
আরও পড়ুন>>>নোয়াখালীতে ধর্ষণের ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানে: কাদের
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে বলেন, বিশাল বিজয়ের সঙ্গে বিশাল প্রত্যাশা ও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং ওয়াদা পালন করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
এবার মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে সেটা পরিষ্কার করেননি ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আকার বাড়তেও পারে, তবে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। প্রথমে হয়তো সরকার গঠন করার পর আস্তে আস্তে সম্প্রসারণ হতে পারে।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার হুমিকর বিষয়ে বলেন, আইনী বিষয়ে আমরা আইনগতভাবে লড়বো। রাজনৈতিক বিষয় হলে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। আর সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তারা দেখবেন।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, নির্বাচনের বিজয় ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হ্যাট্রিক জয়কে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুভকামনা জানিয়েছেন। দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এসএম/এএ