রোববার (৩০ জুন) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের ১ নং আমলী আদালতে তার জামিনের শুনানি হয়। মাস্টার্স পরীক্ষা থাকার কারণে আদালতটির বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তি চন্দ্র দেবনাথ তিনদিনের অন্তর্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি এবং মারধরের মামলায় শনিবার (২৯ জুন) রাতে শহরের কাচাঁবাজার এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
সদর উপজেলার চরকেওয়ারের টরকী গ্রামের রেহানা বেগম মামলাটির বাদী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাদীর বাড়িতে গিয়ে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযাগে মামলা হয়। ১৪৩, ১৪৮, ৩২৩, ৩৮০, ৫০৬ ও ১১৪ ধারায় দায়ের করা মামলাটিতে ৬ জন আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান আসামি ফয়সাল মৃধা।
কোর্ট পরিদর্শক হেদায়েত উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে কোর্টে আনা হয়। পরে ১২টার দিকে তাকে মুন্সিগঞ্জ সদর ১নং আমলী আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার টরকী গ্রামের জুলহাস বেপারীর স্ত্রী রেহানা বেগম নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি এবং মারধরের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে নেমে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আগে অনেক অভিযোগ পেয়েছি এবং মুন্সিগঞ্জ সদর থানা বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সে সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এসএইচ