ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রিফাত হত্যায় আ’লীগের কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে বিচার হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৯
রিফাত হত্যায় আ’লীগের কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে বিচার হবে

ঢাকা: বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ডে যদি দলীয় কারও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়, অবশ্যই তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বরগুনার ঘটনায় দলের কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ছাড় দেয়া হবে না।

দলের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নমনীয়তা ও শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই। আমাদের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।  

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা রিফাতকে। তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের বাধা দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি।

ঘটনাটির ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, নয়ন বন্ড নামে এক যুবক উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করছিল রিফাত শরীফকে। তার সঙ্গে তখন ছিলেন রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী নামে দু’জন। পাশে ছিলেন আরও বেশ ক’জন।

নয়ন বন্ডরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠে। অন্যান্য স্থানে এদের থামানোর বিষয়ে কোনো দলীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের পক্ষ থেকে স্ট্যান্ডিং ডিরেকটিভ সব জায়গায়ই আছে। দলের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নমনীয়তা ও শৈথিল্য প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। যত ক্রিমিনাল অফেন্স (অপরাধ) সংগঠিত হয়েছে, এসব ঘটনায় দলীয় সংশ্লিষ্টতা যদি থেকে থাকে, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তিনি যত ইনফ্লুয়েন্সিয়ালই (প্রভাবশালী) হোন না কেন, দল কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া নয়ন বন্ড ক্রস ফায়ারে মারা গেছে- নয়ন বন্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন আমি তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত।

চট্টগ্রামে যুবলীগের এক গ্রুপের কর্মীকে আরেক গ্রুপের কর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়েছে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে কাদের বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশকে বলা হয়েছে, তদন্ত করছে। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন নেয়, সেই ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমি নিজেই কথা বলেছি, সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে।

ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা মামলায় আদালতের রায় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এটা চিরাচরিত রূপ। কোনো রায় তাদের বিরুদ্ধে গেলেই তারা এ ধরনের মন্তব্য করে। তারা আদালতের রায় মানতে চায় না। আমরা লক্ষ্য করেছি তারা সবসময় এটা করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।