একই সঙ্গে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কি-না সেটাও দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কিনা সেটাও দেখা দরকার। জিয়া হত্যার পর সবচেয়ে বেশি বেনিফিশিয়ারি, সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া।
‘তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসন হয়েছেন। দুই দু’বার রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার চায়নি কেন- এ রহস্য উন্মোচন প্রয়োজন। জিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা করলেন না কেন, মামলাটা চালালেন না কেন?,’ প্রশ্ন করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে ধরে এনে বিনাবিচারে হত্যা করেছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া দরকার। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলো তদন্ত কমিশন করে জিয়াসহ তাদের বিচার হওয়া দরকার। শেখ হাসিনার সরকার ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। ’
লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতিবিদ হতে হলে জেলের ভয় পেলে হয় না। সাত সমুদ্র ১৩ নদীর ওপার থেকে নানা কথা বললে হয় না। সাহস দেখাতে হয়, গ্রেফতার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ভয় পেলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি হওয়ার সময়ে কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, গত ৩৮ বছরে শেখ হাসিনা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা, দুর্বিপাক উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির পাশে ছিলেন এবং আছেন। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নন, বাংলাদেশর নেতা নন, বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত সরকার তাদের বিচার করছে। কিন্তু চূড়ান্ত বিচার সমাপ্ত করতে সময় লাগছে। চূড়ান্ত বিচারটা দ্রুত করতে আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
‘আমরা ক্রসফয়ারের সমর্থন করি না, কিন্তু যখন এই ধরনের অপরাধীরা ক্রসফায়ারের শিকার হয় তখন ভুক্তভোগীরা, সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ভুক্তভোগী, সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো হা হুতাশ নেই। ’
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এদের নির্মূল করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ও স্বাধীন বংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী খন্দকার রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কামাল চৌধুরী, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসকে/এমএ