সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় এরশাদের মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়।
এ সময় এরশাদের ছোটভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘এরশাদ সাহেব একজন ভদ্র, মার্জিত মানুষ ছিলেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। ’
এ সময় প্রয়াত সাবেক ‘স্বৈরশাসক’ এরশাদের স্ত্রী রওশনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বামীর পক্ষে দেশবাসীর ক্ষমা চেয়েছেন। আর ছোটভাই জিএম কাদের ছিলেন আবেগাপ্লুত।
এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজধানীর কাকরাইলে, তার প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
পরে সেখান থেকে নিয়ে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সেখানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে আবারও সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হবে সাবেক এই সেনাপ্রধানের মরদেহ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার নিজের এলাকা রংপুরে।
সেখানকার জিলা স্কুল মাঠ/ ঈদগাহ মাঠে তার চতুর্থ জানাজা হবে। এরপর সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় এনে দাফন করার কথা। তবে জাপার মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে। এরশাদের দাফন বিষয়ে সোমবার-মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত হবে।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এইচএম এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভূগছিলেন তিনি।
ওইদিন বাদজোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা। এদিকে দলীয় প্রধান এরশাদের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক পালন করছে জাতীয় পার্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এমএ/