বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নগরীর আনন্দমোহন কলেজে পাঁচ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঘিরে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলী আকবরের মাথা ফেটে গেছে।
স্থানীয় ও আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, কলেজটির সাংস্কৃতিক সপ্তাহকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব ও আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সবুজের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। কলেজ ছাত্রলীগ রকিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
অনুষ্ঠানের দিন বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সোয়া ১১টা থেকে রকিব কলেজের সামনে গেলে কলেজ ছাত্রলীগ তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তবে, হাল ছাড়েননি ‘নাছোড়বান্দা’ ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা গেটের সামনে বসেই কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
এসময় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কিন্তু, কলেজ ছাত্রলীগ নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত অশ্রুসিক্ত চোখে ফিরে যান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি।
এবিষয়ে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহমুদুল হাসান সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাদক নির্মূল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দীর্ঘদিনের অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতেই রকিবকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতো।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব বাংলানিউজকে বলেন, আমি ২০১৪ সালে সারাদেশে ছাত্রলীগের শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার পেয়েছি। আমার নেতৃত্বেই জেলা ও আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। আমি নিজেও আনন্দমোহন কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলাম। প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এখানে এসে লাঞ্ছিত হয়েছি। পুলিশ প্রশাসনও আমাকে কলেজে ঢুকতে দেয়নি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রকিব বহিরাগত হওয়ায় কলেজ ছাত্রলীগ তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। পুলিশ তাকে বাঁধা দেয়নি। প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে মারা ইটে একজন আহত হয়েছে। তবে, ক্যাম্পাসের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএএএম/একে