ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খোকার মৃত্যুতে খালেদা প্রতিক্রিয়া জানাতে না পারা দুঃখজনক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯
খোকার মৃত্যুতে খালেদা প্রতিক্রিয়া জানাতে না পারা দুঃখজনক

ঢাকা: কারাবন্দি থাকায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে না পারা অত্যন্ত দুঃখের ও কষ্টের বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, তার (খালেদা জিয়া) কাছে আমরা খোকার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু এ সংবাদ শোনার পর তার যে প্রতিক্রিয়া, অনুভূতি, সেটা তিনি দিতে পারছেন না।

কারণ তিনি মিথ্যা মামলায় কারাগারে। যার নেতৃত্বে দলের নেতা খোকা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া খোকার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছেন না, তার কষ্ট, অনুভূতিগুলো বলতে পারছেন না। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের ও কষ্টের।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গোপীবাগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার বাসভবনে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব খোকার গোপীবাগের বাসায় পৌঁছার পর শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেখানে তিনি তার ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং শোকাবহ পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, মহানগর দক্ষিণের নেতা নবী উল্লাহ নবীসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা।

খোকার কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খোকার পুরো রাজনৈতিক জীবনটা অনেক বর্ণাঢ্য ও সফল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একজনের কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন, এ খোকার কাছে।  

তিনি বলেন, খোকার প্রতি সবার ভালোবাসা আছে, মমত্ববোধ আছে। তার প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল। আমরা খোকাকে যেভাবে চিনি, তিনি মূলত; একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং একইসঙ্গে গণতন্ত্রের সংগ্রামী ও লড়াকু সৈনিক। গণতন্ত্রের জন্য তিনি তার শরীরের রক্ত ঝরিয়েছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেছেন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়েই তিনি ঠিকমতো তার চিকিৎসা করাতে পারেননি। কারণ গণতন্ত্রের লড়াই করার জন্য তাকে মিথ্যা মামলা ও সাজা দেয়া হয়েছে। এই লড়াকু মানুষটির শূন্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়।

খোকার দেশে ফেরার জন্য তার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনি জীবিত অবস্থায় শঙ্কায় ছিলেন দেশে ফিরতে পারবেন কি-না, দেশে তার মাটি হবে কি-না? এ বিষয়টি নিয়ে তার উদ্বেগ ছিল।  

মির্জা ফখরুল ছাড়াও সাদেক হোসেন খোকার বাসভবনে উপস্থিত হয়ে শোক বইতে স্বাক্ষর করেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, মহানগর দক্ষিণের নেতা নবী উল্লাহ নবী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএইচ/ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।