বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা জানেন, মুক্তিযুদ্ধে কত রক্ত দিয়েছি।
‘আমাদের প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে তো থাকেবই। চূড়ান্ত বিবেচনায়, এই মাত্র খবর পেলাম, যে না আমরা নির্বাচনে থাকবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো, নির্বাচনে আমরা থাকবো। ’
ডিএনসিসি নির্বাচনে জাপার প্রার্থী মনোনয়নপত্রে বৈধতা না পেলেও ডিএসসিসিতে পেয়েছে। তবে দলটির প্রার্থী সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিলেও তা থেকে সরে এসে নির্বাচনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাপা প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই মহাজোটের সঙ্গে আমাদের বৈঠক চলছিল। অনেক আলোচনা হয়েছে। শেষপর্যন্ত আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই আমরা নির্বাচনে থাকছি।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, গণতন্ত্রের শর্ত হলো শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করা, শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা। আলোচনার মধ্য দিয়েই একটা সমাধান বের করে নিয়ে আসা। এখানে নির্বাচনে আমরা থাকবো, কিন্তু একে অন্যের সঙ্গে কথা বলবো না, তা তো হতে পারে না। সে সরকারি দল হোক বা আরেকটি দল হোক কিংবা বহু দল হোক, সবার সঙ্গে একটা মর্যাদাপূর্ণ আলোচনা হওয়া উচিত। সেই আলোচনা থেকেই আমরা নির্বাচনে আছি।
তিনি আরও বলেন, কখনও কখনও আমরাও আহত হয়েছি ফলাফল নিয়ে। সব ক্ষেত্রেই যে বিজয় পেয়েছি, তা না। সবকিছু অর্জন করতে পেরেছি, পারিনি। ব্যথিত হৃদয়ে তো কিছু কথা থাকতেই পারে। কিন্তু সেটা সরকারেরও শুনতে হবে। যারা হারবে তাদেরও সহনশীল হতে হবে। এমন কথা বলবো না, যাতে জাতীয় জীবনে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে জাপা নেতা বলেন, এটা একটা নতুন বিষয়। এটা বুঝতে সময় প্রয়োজন। এটা ব্যবহারের জন্য চর্চার প্রয়োজন আছে। সেই সময়টা আমরা পেলে হয়তো পরিপূর্ণ ব্যবহার আমরা অর্জন করতে পারবো। সেজন্য আমাদের যাতে এই ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে। এটা অপব্যবহার হয়েছে, এতে সঠিক ভোটাধিকার প্রয়োগ হচ্ছে কি-না, সেদিকে আরও কঠিনভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবশ্য এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
ইইউডি/টিএ