তিনি বলেন, প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগ চলবে। এ দলে কোনো সুবিধাবাদীর স্থান নেই।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ার করে আ’লীড় সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেউ ঘরের মধ্যে ঘর বানাবেন না। কমিটি করতে গিয়ে পকেট কমিটি করবেন না। ত্যাগী কর্মীরা কোণঠাসা হলে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ত্যাগী কর্মীদের মূল্য দিতে হবে। তা না হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে আমরা সম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উৎপাটন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা আর কোনো অন্ধকারের অপশক্তি দেখতে চাই না। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে অন্ধকারের পরাশক্তি পরাজিত হয়েছে। এ অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেবো না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মূলধারার বাংলাদেশ নির্মাণ করবো। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আর কোনো অপশক্তিকে আমরা ক্ষমতার মসনদে বসতে দিতে পারি না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মূলধারা বাংলাদেশ চালাবে। এটাই হোক আমাদের শপথ।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবেন না। এটা এখন ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’। নির্বাচনে ফেল, আন্দোলনে ফেল, এখন পুঁজি হচ্ছে নালিশ। তাও আবার বিদেশিদের কাছে নালিশ। আরে দেশের মানুষের কাছে নালিশ করো, বিদেশিদের কাছে নালিশ করলে বাংলাদেশ ছোট হয়ে যায় না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বিএনপি এখন বাংলাদেশকে খাটো করছে।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপির আন্দোলন কোন বছর। তাদের আন্দোলনে আর জনগণ ছাড়া দেয় না। কয়েক মাস পর পরই বলে আন্দোলন। রমজানের ঈদের পর আন্দোলন, কোরবানীর ঈদের পর আন্দোলন, পরীক্ষার আন্দোলন, দিন যায় মাস যায়, এই বছর না, ওই বছর। বিএনপি’র আন্দোলন কোন বছর? বিএনপি’র আন্দোলনে মরা গাঙ্গে (নদী) জোয়ার আর আসে না। মির্জা ফখরুল আন্দোলনে হারে, নির্বাচনে হেরে। বেচারা কি করবে, হতাশায় আবোল-তাবোল বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর ২৪টি স্প্যান বসে গেছে। আর বছর খানেব লাগবে। তখন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় আসতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংগঠনিক মির্জা আজম এমপি, এস এম কামাল হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র এস এম কামাল হোসেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমল সেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী ও সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর।
পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সভাপতি ও আয়নাল হোসেন শেখকে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এসএইচ