এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সরকারের ভুলনীতি-দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই আজ বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে।
পড়ুন>>পাইকারি-খুচরায় বাড়লো বিদ্যুতের দাম
‘বিদ্যুতের দাম বাড়লে, তার প্রভাব সর্বক্ষেত্রেই হয়। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম, বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়া বেড়ে যাবে। এতে জনগণের জীবন জীবিকা চরম সংকটে পড়বে। ’
বাম নেতারা আরও বলেন, রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে বেসরকারি ব্যক্তি মালিকদের মুনাফার উদ্দেশ্যে লুণ্ঠনের এক অভয়ারন্য তৈরি হয়েছে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের দিতে হচ্ছে। ফলে এই লুটপাটের দায় জনগণ কেন নেবে?
বিবৃতিতে অবিলম্বে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।
বিবৃতিতে সই করেছেন- বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, সদস্য ও সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক প্রমুখ।
এদিকে পৃথক বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
আরকেআর/এমএ