মঙ্গলবার (৫ মে) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন ক্রমবর্ধমান তখন ‘লকডাউন’ শিথিল করার সরকারি ঘোষণা তীরে এসে তরী ডোবার শামিল।
পলিটবুর্যোর পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার ও অর্থমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং আগামী বছরের জন্য বর্তমান বছরের চাইতেও বড় বাজেট করতে চলেছেন। বিশ্বে এমন পরিস্থিতি নয় যে পোশাকশিল্প তার বাজার হারাবে। অন্যদিকে ঈদের এক বছরের ব্যবসার জন্য শপিংমলগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে না। বরং যেটা প্রয়োজন তাহলো ছোট ব্যবসা, শিল্প, কৃষি, খামার ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো ঘোষণা করেছেন তাকে এ দিকে বিস্তৃত করা যুক্তিযুক্ত হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের কঠিন সময়েও ঈদ উদযাপন করেছে। এবারও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যে লড়াই তা মুক্তিযুদ্ধের ঐ চেতনা দিয়েই মোকবিলা করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য নয়, চীন, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি পাশের দেশ ভারত যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে সম ব্যবহারের চরিত্র বৈশিষ্ট্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার উদাহরণ নিতে পারে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে করোনা সংক্রমণ নিন্মগামী না হওয়া পর্যন্ত ‘লকডাউন’ সহ
নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করাকে কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
আরকেআর/আরআইএস