বুধবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কাল (৫ মে) সন্ধ্যায় ইফতারির সময় ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সংগঠক দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের একদল লোক।
মুবিনুল হায়দার বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি, তিনি সরকারের বিভিন্ন অন্যায়, দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে লেখেন, মতামত তৈরি করেন। এর বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন। এ অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আছে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছি বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে শুধু আটক নয়, একেবারে গুম করে দেওয়া হচ্ছে। খুব খোলামেলাভাবে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এসবকিছুর তোয়াক্কা না করে সরকারি বাহিনী একের পর এক প্রতিবাদী লোককে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কখনো তুলে নেওয়ার ঘটনা স্বীকার করছে, কখনও করছে না। কিছুদিন আগে সাংবাদিক কাজলকে গুম করা হলো, এখন তাকে নিয়ে আরেকটি নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। এর আগে সাংবাদিক শহীদুল আলমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রে, টিভি, মিডিয়ায়, রাজপথে- যারাই যেখান থেকে প্রতিবাদ করছেন, তাদের বিরুদ্ধেই সরকার আগ্রাসী হয়ে উঠছে। বেআইনিভাবে ক্ষমতায় আসা এ সরকার রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে গেছে, এতটুকু সমালোচনা তারা সহ্য করছে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত অর্জন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্রের কোন ছাপই এ দেশে নেই। রাষ্ট্রের এ ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে দিদারুলকে মুক্তি দিন। দমন-পীড়ণ বন্ধ করে মহামারির হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
ইইউডি/এফএম