শনিবার (৯ মে) বিকেলে পুরানা পল্টন আইএবি মিলনায়তনে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস খোলা এবং বন্ধ নিয়ে যে নাটকীয় খেলা হয়েছে তাতে অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নয় দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- গার্মেন্টস শ্রমিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ও কাজের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে ভালো খাবারের প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ৫০লাখ রেশন কার্ড বরাদ্দ করতে হবে, স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, ঈদের আগে ২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিকের সব পাওনাসহ ঈদ বোনাস দিতে হবে, করোনার কারণে বন্ধকালীন সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১০০ শতাংশ বেতন দিতে হবে, গার্মেন্টস শিল্পের কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না, গার্মেন্টস শিল্প লে-অফ করা যাবে না, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সল্পমূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসাসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সব গার্মেন্টস জোন এবং ইপিজেডগুলোতে বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তুলে শ্রমিকদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতি চারমাস অন্তর মেডিক্যাল চেক-আপের ব্যবস্থা করতে হবে, সব গার্মেন্টেসে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতি হলো মালিক ও শ্রমিকের সৌভাগ্যের পরশমণি। ইসলামী শ্রমনীতি এমন এক শ্রমনীতি- যাতে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই লাভবান হয়। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে- কোনদিন গার্মেন্টস সেক্টরে মালিক শ্রমিকের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব বাধবে না। গার্মেন্টসে উৎপাদন দ্বিগুন/তিনগুন বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে মালিকেরও লাভ হবে এবং শ্রমিকেরও বেতন বাড়বে। শ্রমিকরা মনের আনন্দে নিরলসভাবে নিজের কাজ মনে করে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/