তিনি বলেন, ঈদ তো কত পালন করেছি জীবনে। ৪৬ বছর বয়সে ৪৬টি ঈদ গেছে, ৪৬টি কোরবানি গেছে।
সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মেয়র সাদিক বলেন, বরিশাল সিটি এলাকার প্রতিটি মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে কোনো ঘরে খাবার না থাকলে, কোনো অসুবিধা থাকলে আমাকে জানান। আমি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সাধ্য অনুযায়ী খাবারগুলো বাসায় পৌঁছে দেবো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিজে তদারকি করে ৬২ হাজার পরিবারের ঘরে খাদ্য সহায়তা এরইমধ্যে পৌঁছে দিয়েছি এবং আরও সাহায্য আসছে। ফলে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শনিবার (০৯ মে) মধ্যরাতে বরিশাল নগরের কালিবাড়িরোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যত লোক মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের এ থেকে শিগগির রেহাই দেন।
‘দোকান খোলা রাখার বিষয়ে আমি সাংবাদিক ও নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সিটি করপোরেশনের ফেসবুক পেজেও এ বিষয়ে আমি মতামত চেয়েছি, সেখানে ১ ঘণ্টায় ২ হাজারেরও বেশি মতামতের সবগুলোই ছিলো নেগেটিভ, কোন পজিটিভ কমেন্ট পাইনি। সবাই দোকান খোলা রাখার বিপক্ষে। যে কারণে আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছি, তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ব্যবসায়ীরা মানবতার দিক বিবেচনা করে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণের স্বার্থে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার অনুরোধ তারা রেখেছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। ’
সভার বিষয়ে চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম জানান, জীবন ও জীবিকার মধ্য থেকে আমরা জীবনকে বেছে নিলাম। মেয়রের অনুরোধে এবং কর্মচারীসহ জনসাধারণের কথা চিন্তা করে সংক্রমণ রোধে আমরা জীবনকে বেছে নিয়েছি। বেঁচে থাকলে আমরা বহু ঈদ করতে পারবো। রোববার (১০ মে) থেকে আমরা চকবাজারের সব দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি আজ নগরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সেখানে মেয়রের অনুরোধের বিষয়টি বলা হবে। আশা করি নগরের সব দোকানপাট ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
এমএস/এইচএডি/