সাভার (ঢাকা): দীর্ঘ তিন বছর বিদেশ থাকার পর দেশে ফিরে আসেন আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আব্বাস আলী। সেখান থেকে আসার পর হাতে ও পায়ে অনেক জ্বালা-পোড়া শুরু হয় তার।
সেই থেকে তার জীবনের কাল চলে আসে। হাসপাতালটির চিকিৎসকের একটু ভুলের কারণে হাত ও পায়ের আঙুলের ৯০ শতাংশ কাটতে হয় আব্বাস আলীর। সেই থেকে তিনি প্রতিবন্ধী হয়ে যান। তার জীবনের এই দুর্দশাকালে কেউ পাশে না দাঁড়ালেও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার।
হাসপাতালে চিকিৎসার বিলসহ এখন পর্যন্ত আব্বাসের যাবতীয় খরচ তিনি বহন করছেন। বুধবার (১১ নভেম্বর) বুধবার যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আব্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া তার কর্মসংস্থানের জন্য একটি ফার্মেসির দোকান করে দেওয়ার কথাও বলেন কবির হোসেন সরকার।
দোকান ও ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার পর আব্বাসের মুখে যেন আলোতে ভরে ওঠে। আব্বাস আলী বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে সাড়ে ৪ লাখ টাকা বাকি হয়। তখন অসহায় হয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। এরপর সরকার আমার পাশে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, আসলে আমি কি বলবো, আমার বলার ভাষা নেই। আমার এই দোকানকে সম্বল করে আমি আমার পরিবার নিয়ে দু-মুঠো ভাত খেয়ে দিন চলাতে পারবো। আমি মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তার জন্য ভালো করেন। আমি মন থেকে সারাজীবন তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
এ বিষয়ে যুবলীগের আশুলিয়া থানার আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আব্বাস আওয়ামী লীগের সর্মথক। তিনি পারিবারিক ভাবেও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। দুর্ভাগ্যবশত ভুল চিকিৎসার কারণে তার হাত ও পায়ের আঙুল কেটে ফেলতে হয়। চিকিৎসা করতে গিয়ে তার সর্বস্ব শেষ করে তিনি আজ নিঃস। আমি আগে থেকে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আজ যেহেতু যুবলীগের একট বিশেষ দিন এই দিনটি স্বরণীয় করে রাখতে আশুলিয়া থানা যুবলীগের পক্ষ থেকে তাকে একটি ফার্মেসির দোকান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। সেই সঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের ভেতর ছয়টি হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
এনটি