ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী একই সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের মহাসচিব ছিলেন।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
জানতে চাইলে শায়রুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নির্দেশে তিনি এই শোক বার্তা পাঠিয়েছেন। এতো দেরিতে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
শোকবার্তায় বলা হয়, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবাণীতে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশে সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের অপর অংশের (যে অংশের মহাসচিব ছিলেন নূর হোছাইন কাসেমী) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়েখ জিয়া উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকীব, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সভাপতি এইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ পিপলস লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুল ইসলাম, এলডিপি'র একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী শোক প্রকাশ ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
২০ দলীয় নেতারা বলেন, মরহুম আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর ইন্তেকালে দেশ ও জাতি একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবীদকে হারালো। আর আমরা একজন রাজপথের পরীক্ষিত সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ ছিলেন আল্লামা কাসেমী। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক, অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে নিজ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে এদেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত করেছেন। ইসলাম ধর্মের একজন সুপণ্ডিত হিসেবেই তিনি ছিলেন বাংলাদেশে সর্বজনশ্রদ্ধেয়।
মহান আল্লাহ’র নিকট মোনাজাত করি-আল্লাহ পাক যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন। আমরা তার শোকাহত পরিবারবর্গসহ ঘনিষ্ঠজনদের ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দানের জন্য দোয়া করছি। আমরা তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুম আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা নূর হোছাইন কাসেমীকে দেখতে হাসপাতালে যাননি। এছাড়া সোমবার সকালে তার জানাজায়ও কেউ শরিক হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এমএইচ/এনটি