ঢাকা: যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, ‘সরকার সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। আওয়ামী লীগের তাণ্ডবে নারী নেত্রীরাও রক্ষা পাচ্ছে না।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর শহর বিএনপির সভানেত্রী ও পৌরসভার নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হাফিজা বেগমকে হত্যার অভিযোগ করে সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ‘গত ১৮ ডিসেম্বর গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে এ নেত্রীকে গুরুতর আহত করেন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। ’
তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢামেক হাসপাতালে ছুটে যান সালাউদ্দীন টুকু। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার ধারাবাহিকতায় হাফিজা বেগমকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে হত্যা-গুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় চিরকাল থাকতে পারবে না। দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে।
হাফিজা বেগমকে স্মরণ করে সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ‘তিনি ছিলেন দলের একজন নিবেদিত কর্মী। সারাজীবন জাতীয়তাবাদী আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছেন। এজন্যই তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। ’
এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল পুর্বপাড়ার বাড়ি থেকে একটি ওয়াজ মাহফিলে যাচ্ছিলেন হাফিজা বেগম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় উঠলেই উল্টো দিকে থেকে দ্রুত গতিতে একটি মোটরসাইকেল এসে তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী আবদুল খালেক পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার হোসেনকে অভিযুক্ত করে গোপালপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
এমএইচ/আরবি