ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, মানববন্ধন বা প্রতিবাদ করে মুক্তির পথ হবে না। আমাদের লড়াই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান।
নতুন বছরে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার মতো শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আসুন রাজপথে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই সংগ্রাম করে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, আসুন সরকারকে নামানোর জন্য একটু চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে সফলও হতে পারি, না হলে ব্যর্থও হতে পারি। কিন্তু চেষ্টা না করে সফলও হইলাম না ব্যর্থও হইলাম না। আর সবসময় ঈশ্বরের ওপর, আল্লাহর ওপরে ভরসা করলাম- আল্লাহ ছাড়া আর গতি নাই। না, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, কাপুরুষ এবং মূর্খরা অদৃষ্টের উপরে নির্ভর করে। আর বীর পুরুষরা নিজেদের অদৃষ্ট নিজেরা গড়ে তোলে।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে আজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান, বিএনপির কারণে পারছেন না। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন শেখ ডাইনেস্টি আছে, এক শেখ যান আরেক শেখ আসেন। বাংলাদেশেও উনারা শেখ ডাইনেস্টি প্রতিষ্ঠা করতে চান। নামের সঙ্গে তো শেখ আছে। খালি একটু আইনটা পাস করলেই হয়। বিএনপির কারণে তারা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে হটানোর আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবে।
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হাবিজা বেগম’র ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা ও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মানবনবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জেবা খান, রবিউল ইসলাম রবি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এমএইচ/এমএইচএম