ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চৌমুহনীর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
চৌমুহনীর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বরকত উল্লাহ বুলু। ফাইল ফটো

ঢাকা: নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু।  

এ ঘটনায় তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে ফুটেজ দেখে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

 

শনিবার (১৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।  

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, প্রশাসনের উচিত সেখানকার ফুটেজ দেখে দোষীদের খুঁজে বের করা এবং বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।  

বিএনপি একটি অসম্প্রদায়িক দল দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সব সময় সম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। এই সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টি করেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ’৯১ সালে আমরা যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসি, তখন আমি নোয়াখালীতে সংসদ সদস্য ছিলাম। সেই সময় ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙার পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ২৬টি ইউনিয়নে গান্ধী ও রাম ঠাকুর আশ্রমসহ হিন্দুদের সকল মন্দির আমরা পাহারা দিয়েছি। বিডিআর, পুলিশসহ আমাদের নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত হিন্দু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। সবাইকে আশ্বস্ত করেছি, বেগমগঞ্জে কিছু হবে না।  

তিনি বলেন, আমরা সেদিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলাম। সেই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ৭০-এর এমএনএ ও সংসদ সদস্য নূরুল হক। আমি সংসদ সদস্য হিসেবে প্রধান অতিথি ছিলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ এম এ হানিফ। এছাড়া স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নান্টু সাহাসহ বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাসদ, বাসদ ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দসহ সেদিন সব পক্ষের প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ২০ হাজার মানুষ সেদিন রেলওয়ে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। সেদিন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।  

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা হিসেবে নোয়াখালীর একটি ঐতিহ্য আছে। বৃটিশ আমল থেকে এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। আমি এই এলাকার চারবার সংসদ সদস্য ছিলাম, মন্ত্রী ছিলাম। এবারও আমি ষষ্ঠীর দিন সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এসেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকে এসে আমি টাঙ্গাইলে কুমুদিনীতে গিয়েছি। এরপর কেরানীগঞ্জেও গেছি। ঢাকেশ্বরী ও বনানী পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেছি। বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এই উৎসবে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
এমএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।