রাজশাহী: বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল সোমবার (৬ ডিসেম্বর)। ১৯৮০ সালের এদিনে বহুধাবিভক্ত প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের চারটি সংগঠনের ঐতিহাসিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে এই ছাত্র সংগঠনটি।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে সোমবার সকালে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন ছাত্রমৈত্রীর সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জিরোপয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে মহানগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রা ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন- বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা ও রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা ও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা সেলিম মনোয়ার, আব্দুল মতিন, নাজমুল করিম অপু, সাঈদ চৌধুরী, সীতানাথ বণিক, শামীম ইমতিয়াজ সুমন, আলমগীর হোসেন, তৌহিদ উদ্দীন, শারমনি আক্তার, বীমান চক্রবর্তী, সম্রাট রায়হান, রুবেল আলী, শহিদ সানির বাবা মোধ নান্নু, মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি সাকিব আল হাসান, গালিব হোসেন, রাজপাড়া থানার নেতা ইফতিক হাসান, বোয়ালিয়া থানার সভাপতি অমিত সরকার প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ওহিদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন জেলার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ।
সমাবেশ থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক ও একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার দাবি করে ছাত্রমৈত্রীর নেতারা বলেন, ছাত্র রাজনীতির নৈতিক আদর্শে অবিচল বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী এখনও জনগণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা কায়েমের লড়াই করে যাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদ-সাম্প্রদায়িকতা, ঘুষ, দুর্নীতি ও নৈরাজ্য রুখে দিতে আমরা মাঠে আছি, থকবো। ছাত্রমৈত্রী যে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেকোনো ত্যাগ শিকারে সবসময় সবাই প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
এসএস/জেএইচটি