ঢাকা: বাকশাল করে যেমন আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হয়নি, ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৭জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাকশাল-গণতন্ত্রহত্যার কালো দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাকশাল কোন প্রেক্ষিতে কেন কীভাবে গঠিত হয়েছিল সেটা সবার জানা প্রয়োজন। আসলে আওয়ামী লীগ ২৪ঘণ্টা মিথ্যা কথা বলে। সত্য তাদের অভিধানে নেই। আর মিথ্যা কথা বলতে গিয়ে এই যে সত্য ঘটনাগুলোকে অবলীলায় চাপা দিয়ে দেয়। বাকশাল গঠিত হয়েছিল সংসদে মাত্র ১১মিনিটে। আমি এই মাত্র খবর পেয়েছি যে নির্বাচন কমিশন আইন এই মুহূর্তে পাস হয়ে গেল। আমি হিসাব করে দেখলাম এটি ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় পাস করা হয়েছে। ২৩জানুয়ারি সংসদে দেওয়া হয়েছে। তারপর সংসদীয় কমিটিকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এটা সংযোজন বিয়োজন করার জন্য। ২৪ঘণ্টাও হয়নি। ২৪ঘণ্টার মধ্যেই আজকে হাউজে নিয়ে সেটাকে পাস করলেন। সমস্যাটা হচ্ছে সেদিনও আওয়ামী লীগ বাকশাল করেছিল নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টায়। আজকেও তারা একটা নির্বাচন কমিশন আইন পাস করলেন, তারা ভাবছেন এই আইন করে তারা বেঁচে যাবেন। কিন্তু তারা ভুলে গেলেন যে বাকশাল করেও শেষ রক্ষা হয়নি, ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের শেষ রক্ষা হবে না।
তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি। আমরা আমাদের স্থায়ী কমিটির আলোচনার সিদ্ধান্তের কথা আপনাদের জানিয়েছি। যে এই আইন পাস করার কোনো এখতিয়ার এই সংসদের নেই। কারণ এই সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ নয়। এই আইন আমাদের কাছে নয়, সারাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আর যে আইন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, সেটাকে কেউ মানবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যখন দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল তখন বাকশাল গঠন করেছিল। ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম সেটা একদিনে নয়। ৫২সাল থেকে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। তখন মানুষের আশা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চালুক করবো। প্রতিটি মানুষের মধ্যে স্বপ্ন ছিল। সবাই যুদ্ধে গিয়েছিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল।
সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এমএইচ/এসআইএস