ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদার সাজার মেয়াদ স্থগিতের মতামত আজই পাঠানো হবে: আইনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
খালেদার সাজার মেয়াদ স্থগিতের মতামত আজই পাঠানো হবে: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ স্থগিতের আবেদন আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে এবারও আবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামিন দেন আদালত। দুই-আড়াই বছর আছে উনার পারিবারিকভাবে একটা দরখাস্ত করা হয়, সেটায় কোনো আইনের উল্লেখ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে এটা আইনের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়।  

মতামত কবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, উনারা দরখাস্ত করেছেন সাজা স্থগিতে মেয়াদ বাড়ানোর। সেটা আমার কাছে এসেছে, আমার মতামত পাঠিয়ে দেব, সেই মতামত আপনারা জানবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। আজকেই চলে যাবে।

আনিসুল হক বলেন, আমার মনে হয় এটা আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না। কারণ আগেরবার যেটা দিয়েছিলাম সেটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যায়নি। এটাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে না। চিঠি এখনো পড়িনি। এখন পড়ব। আজকেই পাঠিয়ে দেব।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন সাংবাদিকদের জানান, উনাদের একটা পত্র আমরা পেয়েছি। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়েছি। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে সেখানে প্রেরণ করবো আমরা।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। পঞ্চমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে পরিবার। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

এর আগে ছয় মাস করে চারবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ চলতি মেয়াদ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো: খালেদাকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।