ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগ একাই যথেষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগ একাই যথেষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির অবস্থা হয়েছে উড়ন্ত তেলাপোকা আর বর্ষাকালের ব্যাঙের আওয়াজের মতো। আওয়াজ দিয়ে লাভ নেই।

বিএনপিকে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ লাগবে না, যুবলীগ একাই যথেষ্ট।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান কুশিলব ছিলেন খন্দকার মোস্তাক এবং তার প্রধান সহযোগী ছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। আজকে জিয়াউর রহমানের দল মানবাধিকারের কথা বলে, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে থামেনি। নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, এভাবে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তার দল বিএনপি আজ মানবাধিকারের কথা বলে। বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা ফাটানো হয়েছে। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগের সময় বিএনপি বিভিন্ন বিভাগে, জেলায় সমাবেশ করছে বিনা বাধায়। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, খুনিরা ওকে ৯(রাসেল) হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ওদের অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। রাসেল আজ বাংলার শিশু-কিশোর-তরুণদের ভালোবাসার নাম। নির্যাতিত-নিপীড়িত-লাঞ্ছিত শিশুদের প্রতীক হয়ে গ্রাম বাংলার প্রতিটি লোকালয়ে রাসেল আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মানবিক চেতনা আর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন যুবসমাজ রাসেলের বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শেখ রাসেল আজ আবর্তিত হয়েছে সব শিশুর ওপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে।

সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, ১৯৭৫ সালের ঘাতকদের যেন বিচার না হয় সে জন্য খুনি জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে এবং খুনিদের বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। এতে প্রমাণ হয় জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ওনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বাকি কাজটুকু আমাদের করতে হবে।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সেই দিনের জামায়াত-শিবির আজকের বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে ১৫ আগস্টের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল কিছু বিপথগামী সেনা। ১৯৭৫ সালের খুনি জিয়া আর ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত খুনি তারেক জিয়া বাংলার ইতিহাসে দুটি কলঙ্কিত নাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ টাকা পাচারের মূলনায়ক তারেক জিয়া আজকে বিদেশে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে, এদেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি। সভায় যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।