ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপি মানুষের কষ্ট অনুভব করে: আলাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
বিএনপি মানুষের কষ্ট অনুভব করে: আলাল

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের কর্মসূচি চলছে। আমরা তো বলিনি বিএনপি এ মুহূর্তে ক্ষমতায় যাবে।

আমরা তো বলিনি খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরাতো মানুষের কষ্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। সেই কষ্ট মানুষ অনুভব করতে পেরেছে বলেই বিএনপির সমাবেশগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন আলম বলেন, লক্ষ্য করছেন না বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। আপনাদের তিন দফার ক্ষমতার দুঃশাসনের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। তার প্রকৃত প্রমাণ হচ্ছে সমাবেশগুলো। মানুষের বেঁচে থাকার যে আকুতি সেই জায়গায় কোনো বিভেদ নেই।  

তিনি বলেন, যারা গার্মেন্টস মালিক তারা আবার একই সঙ্গে ব্যাংকের মালিক ইন্ডাস্ট্রিজের যারা মালিক তারা আবার একই সঙ্গে ব্যাংকের মালিক। তারাই আবার আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নেতা আওয়ামী লীগের তহবিলে তারাই সবচেয়ে বেশি টাকা দেয়। তারপরেও এ অর্থবছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি কেন? যারা ব্যাংকের টাকা মেরে খেয়েছেন, মানুষের গচ্ছিত সঞ্চয়ের টাকা মেরে খেয়েছেন; সাধারণ মানুষের রক্ত শোষণ করেছেন। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আট হাজার মাইল দূরে রয়েছে তারেক রহমান তাকে নিয়েও এত ভয়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা তারেক তারেক বলতে বেহুঁশ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আতঙ্ক এমন ভাবে পেয়ে বসেছে কোথায়ও বসে তারেক রহমান একটি শব্দ করল বা হাঁচি দিল সঙ্গে সঙ্গে এখানে কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। গণভবনের ফ্লোর কাঁপে বঙ্গভবনের চেয়ার কাঁপে। এত কেন ভয়? চালাতেই যদি না পারেন তাহলে রাতের অন্ধকারে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে মাফ চান। তাকে বলুন অনেক অন্যায় করেছি মাফ করে দেন এবং দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য আসুন এক সঙ্গে কাজ করি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ভালো হয়ে যান সময় আছে। ভালো না হলে ভালো কীভাবে করতে হয় দেশের মানুষ তা জানে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আনিস আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।