ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তায় রাশিয়ার সর্বাধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের হেড অব কনস্ট্রাকশন ইগোর কারালেচেঙ্কো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর কাউন্সিল ভবনে ‘ভিভিইআর নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর অ্যান্ড ইটস্ সেফটি ফিচারস’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে তিনি এ তথ্য জানান।
বুয়েট ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান রোসাটম কোম্পানি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ইগোর কারালেচেঙ্কো বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে নতুন যুগের সূচনা করবে। এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার যে চুক্তি হয়েছে তাতে পরিবেশগত নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ’
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রাকৃতিক শক্তির উপর নির্ভরশীল নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হবে যা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যক্রমে যেকোন বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে মারাত্মক পরিণতি ঘটে যাওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ’
‘এছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধে সক্ষম হবে। এছাড়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ৫৬ মাইল বেগের প্রবল হ্যারিকেন, বন্যা, শক্তিশালী সুনামি এবং বৃহদাকার উড়োজাহাজ পতন প্রতিরোধেও সক্ষম হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ার মধ্যে দুটি চুক্তি হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত কাজ শুরুর বিষয়ে আগামী ডিসেম্বরে তৃতীয় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে এবং পরবর্তীতে চতুর্থ বা শেষ চুক্তিটি হবে একটি সাধারণ চুক্তি। ’
নিউক্লিয়ারিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য বুয়েটসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা হবে বলেও সেমিনারে জানানো হয়।
সেমিনারে বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল হক, বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাইফুর আহমেদ, অধ্যাপক ড. এনামুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৩
এমএএ/এমজেএফ/জেসিকে