সোমবার (১ মে) রাতে ঝড়ের কারণে বিকল হয়ে পড়ে প্রধান গ্রিড আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ। এরপর বিকল্প গ্রিড ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী হয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অব্যাহত ছিল দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে।
কিন্তু মঙ্গলবার (০২ মে) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিকল্প গ্রিড ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদীও ‘ট্রিপ’ করে। আর সঙ্গে সঙ্গে ২৪টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।
এ কারণে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ’র (পিজিসিবি) সহকারী ব্যবস্থাপক এবিএম বদরুদ্দোজা সুমন।
আরও জানতে পড়ুন: খুলনাসহ ২১ জেলায় স্বাভাবিক হচ্ছে বিদ্যুৎ
তবে বিকেল ৩টা নাগাদ বিকল্প গ্রিড মেরামত করে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হয় বলে পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে। এরপর একে একে উৎপাদনে আসে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ পরিদফতরের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বিকেল নাগাদ চার-পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া সবগুলোই উৎপাদনে এসেছে।
এর আগে দুপুরে বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
আরও জানতে পড়ুন: উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। দ্রুত সময়ে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে পিজিসিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ট্রান্সমিশন-২ এর প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসানকে। কমিটিকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।
২০১৪ সালের ১ নভেম্বর জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়। যার ফলে বিদ্যুৎহীন পড়েছিলো পুরোদেশ। এরজন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা। তারা একগাদা সুপারিশসহ রিপোর্টও জমা দেয়। সেখানে অনেকগুলো সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। যেগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের কথার বলেছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এসআই/এসএইচ