ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

তুরস্কে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
তুরস্কে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

ঢাকা: তুরস্কের আঙ্কারাতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে।  আঙ্কারাস্থ হিলটন এসএ হোটেলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের চিফ অব তার্কিশ জেনারেল স্টাফ জেনারেল মেতিন গুরাক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তার্কিশ সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, তুরস্কে কর্মরত বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টারা, তুরস্ক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা, প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যরা, বাংলাদেশ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

বাংলাদেশ ও তুরস্কের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান তার সূচনা বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে আত্মোৎসর্গকারী ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন। এছাড়া তিনি এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।  

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক এবং সামরিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ এবং আহত ছাত্র-জনতার প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। অতপর তিনি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপাক্ষিক সামরিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।  

তিনি তুরস্ক ও বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেনারেল মেতিন গুরাক তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।  

তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রায় তুরস্কের সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকার বিষয়টি ব্যক্ত করেন।  

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবসে একটি কেক কাটেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।