ঢাকা, শনিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৯ মহররম ১৪৪৭

প্রবাসে বাংলাদেশ

নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৩, জুলাই ৪, ২০২৫
নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। ১ জুলাই মঙ্গলবার জ্যামাইকার ৮৭-৪১, ১৬৫ স্ট্রিটে অবস্থিত ইলহাম একাডেমির কনফারেন্স কক্ষে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনটি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ১০৪তম বর্ষ উদযাপন কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন— মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আয়শা আক্তার, সজল রোশান, বিলকিস বেগম, জাসির কবির, টুটুল, মোহাম্মদ ইশতিয়াক উদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির খান, আখতারুজ্জামান খান।

এ ছাড়া জাকির পাটোয়ারী, ‍শামিম আল-আমিন, দিলরুবা আয়েশা, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, ইমাম চৌধুরী, ফাইজা করিম, হাবিব খান, শান্ত বিশ্বাস, সাঈদ তারেক, হাবিবুর রহমান, এবি মির্জা ইসলাম, এম এ হক, এম আর চৌধুরী এবং এম আমির হোসাইনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠানের বড় অংশজুড়ে ছিল স্মৃতিচারণ। ক্যাম্পাস জীবনের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের জন্য হলেও ফিরে যান শিক্ষাজীবনে।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদার্পণ করেছে। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রাখার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান আজ অনন্য উচ্চতায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা গর্বিত যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা ইতিহাসের অংশ। এই বিশেষ দিনে আমরা সবাই সেই মূল্যবোধকে নতুন করে স্মরণ করি—যেখানে শিক্ষা, মানবিকতা, ন্যায়বিচার এবং দেশপ্রেম একত্রে মিশে আছে। দোয়া করি, যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী শত-সহস্র বছর ধরে দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রফেসর মুহসিন পাটোয়ারি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি বলেই আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোর শিক্ষকতার সর্বোচ্চ স্থানে যেতে পেরেছি। এজন্য আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী নাসির আলী খান পল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং অন্যান্য কমিউনিটিতে লিডারশিপ কোয়ালিটি এবং সাংগঠনিক দক্ষতা যতটুকু দেখাতে পেরেছি, তার পেছনে অবদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাইদের উদ্যোগে নিউইয়র্কে এই আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতিটি আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে কেক কেটে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন উদযাপন করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। নির্মল আড্ডা, স্মৃতিচারণ আর গল্প-গুজবে মেতে ওঠেন সবাই। সবশেষে চলে দলবেঁধে ছবি তোলা। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শামিম আল-আমিনকে অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয়।

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।