নিউইয়র্ক: ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে অমর করে রাখতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে অবস্হিত বাংলাদেশ মিশনে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী শহীদ মিনার।
জাতীয় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত আবদুল মোমেন বলেন, ‘এবারের একুশে পালনের দুটো ব্যতিক্রম বিষয় হলো, এই প্রথমবারের মতো মিশন ও কনস্যুলেট সরকারিভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন এবং বাংলা বই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা সভা। বিকাল সাড়ে ৬টায় আলোচনা সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাণী পাঠ করে শোনান মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সব্বির আহম্মেদ চৌধুরী।
উদ্বোধনী বাণী বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষায় পাঠ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানটির দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার অভিনেতা ও জাতিসংঘের কালচারাল মিনিস্টার মমতাজ উদ্দীন আহম্মদ।
অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, পাপুয়াগিনির রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি, জাপান দূতাবাসের কাউনসিলার, ইউনিসেফর প্রতিনিধিসহ অনেক বিদেশি কবি সাহিত্যিক।
বাংলা ভাষাকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের কবল থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা।
তারা বলেন, বাংলাকে সর্বক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জ্ঞানের ভাষা হিসেবে বাংলাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আলোচকরা আরও বলেন, আমরা গর্ববোধ করি এই ভেবে যে মহান শহীদ দিবস আজ স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
আলোচনা সভার শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগীত পরিবেশনায় ছিল চিন্ময় শিল্পী গোষ্ঠী, তাজুল ইমাম, সমীরণ বডুয়া, মোরশেদ খান, ইব্রাহীম শিল্পী গোষ্ঠী প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে রাত ১২টা ১ মিনিটে সবাই অস্থায়ী শহীদ মিনোরে ফুল দিয়ে শ্রদ্বা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২