ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

নতুন সাজে বড় মসজিদ, তারাবি পড়বেন ৩ হাজার মুসল্লি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
নতুন সাজে বড় মসজিদ, তারাবি পড়বেন ৩ হাজার মুসল্লি ময়মনসিংহ বড় মসজিদ: ছবি- অনিক খান

ময়মনসিংহ বড় মসজিদ ঘুরে: রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসকে বরণ করে নিতে প্রত্যেক মুমিনের মতো ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদেও সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

রঙের তুলির আচড়ে নতুন সাজ পেয়েছে প্রায় পৌনে দুইশ’ বছর আগে নির্মিত এ প্রাচীন মসজিদ।  

মসজিদের প্রবেশ গেট থেকে শুরু করে ভেতরে-বাইরেও পরিবর্তনের ছোঁয়াও যেন জানান দিচ্ছে সংযম, আত্নশুদ্ধি ও ত্যাগের মাসের যাত্রা শুরু হচ্ছে।

 

মোহনীয় প্রশান্তি বয়ে যাচ্ছে মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিন থেকে শুরু করে নগরীর মুসল্লিদের মাঝে।

মহিমান্বিত তাকওয়ার এই মাসে এ মসজিদেই জেলার সবচেয়ে বড় তারাবির জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে নামাজ আদায় করবেন ৩ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মুসল্লি।

শুক্রবার (২৬ মে) বাদ মাগরিব মসজিদের অফিস কক্ষে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলানা আবদুস সামাদ (৫০)।  

ময়মনসিংহের বৃহৎ ও ঐতিহাসিক বড় মসজিদের পথচলা শুরু হয় নগরীর চকবাজার নামক স্থানে প্রায় পৌনে দুইশ’ বছর আগে।

ওই সময়কার জমিদারের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে স্থানীয় বিশিষ্ট মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য প্রথমে নির্মাণ করেন টিনের ছাপড়া মসজিদ।  

কালের কপোলতলে অনেক বছর পেরিয়ে সমান ঐতিহ্য ও গুরুত্ব বহন করছে ময়মনসিংহ মসজিদ। প্রায় ১.৯ একর জমির ওপর নির্মিত এ মসজিদটি ত্রিতল ভবনের।  

প্রতি তলায় রয়েছে ১৮টি কাতার। প্রায় ৮ হাজার মানুষ একসঙ্গে এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন।  

দেখা গেছে, দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের গম্বুজ, সমতল ছাদ এবং ছাদের চারদিকে রয়েছে চারটি মিনার। দু’টি মিনার আবার ১২৫ ফুট লম্বা আকৃতির।
ময়মনসিংহ বড় মসজিদ: ছবি- অনিক খান
এসব গম্বুজ ও মিনার চীনা মাটির বিচিত্র রঙের বাসন ভাঙা ও কাচঁ দিয়ে কারুকার্য খচিত।  

মসজিদের নগরীর খেতাব পেয়েছে ময়মনসিংহ। নগরীর পাড়া মহল্লা তো বটেই এখানে-সেখানেও গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। এসব মসজিদেও পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। কোনো কোনো মসজিদ আবার বহুতল ভবনের।  

মসজিদগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্যও বাড়ছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে অনন্য স্থাপত্যশৈলীর ময়মনসিংহের এ বড় মসজিদ।

বড় মসজিদ সংশ্লিষ্টরা জানান, এ মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও তারাবির নামাজের জন্য রয়েছে এয়ার কন্ডিশনের (এসি) ব্যবস্থা। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে তিনটি জেনারেটর। নির্বিঘ্নে এখানে নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা আসবেন দলে দলে।

ময়মনসিংহ বড় মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা আবদুস সামাদ জানান, রমজান শুরুর প্রায় এক মাস আগে থেকেই এ মসজিদে শুরু হয় ধোয়ামোছা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।  

প্রবেশ গেট থেকে শুরু করে মসজিদের ভেতরে ও বাইরের চারপাশ নতুন চেহারা পায়।

তিনি জানান, মসজিদের গ্রিল, অজুখানার রেলিং, মসজিদের দক্ষিণ পাশের বাগানের গ্রিলে নতুন রঙ করা হয়েছে। ছাদের রেলিংও অনেকটাই গম্বুজের আদলে ঢেউ খেলানো। অজুখানার দু’টি পানির হাউজের পানিও পরিবর্তন করা হয়েছে।  

গোটা মসজিদের মেঝে মূল্যবান মোজাইক পাথরের উল্লেখ করে মুয়াজ্জিন মাওলানা আবদুস সামাদ আরও জানান, শ্বেত-শুভ্র মনোরম টাইলসের দেয়াল, আধুনিক শব্দ নিয়ন্ত্রণ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা মুসল্লিদের মনে ঈমানি চেতনা জাগ্রত করে। এ চেতনায় একিনষ্ঠভাবে মুসল্লিরা ইবদাতে মনে দেয়। প্রার্থনা করেন, আল্লাহর ক্ষমা ও রহমত।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘন্টা, মে ২৭, ২০১৭ 
এমএএএম/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad