রমজানের প্রথম তারাবির নামাজ শুরু আগে মসজিদুল আকসার সম্মানিত ডিরেক্টর শায়খ উমর আল কাসওয়ানি বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব বিশ্বসহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের রমজানের শুভেচ্ছা জানান।
রমজানের আগমন উপলক্ষে জেরুজালেম বিশেষ করে এর পুরাতন শহর, পার্শ্ববর্তী এলাকা ও রাস্তাগুলোকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নামাজ আদায়কারী ও জিয়ারতকারীদের উদ্দেশ্যে অভিবাদনমূলক বিভিন্ন বাণী লেখা হয়েছে।
ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর রাস্তা-ঘাটে তল্লাশি এবং কড়াকড়ি আরোপ করা সত্ত্বেও মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের উপস্থিতিতে কোনো কমতি ছিল না।
জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা দিয়েছে, তারা মসজিদুল আকসায় আগমনকারী হাজার হাজার মুসল্লিদের সাদরে গ্রহণ ও তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কমিটির সঙ্গে মিটিং করেছেন। বিশেষ করে গোয়েন্দা বাহিনী, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য মেডিকেল টিম, পরিচ্ছন্নকর্মী এবং স্বেচ্ছাশ্রম প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে।
জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ ডিপার্টমেন্ট মসজিদে আকসায় আগমনকারীদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থাও করেছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল আকসা পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ। এর আশেপাশের এলাকায় অনেক নবী-রাসূলের আগমন ঘটেছিল। বিশেষ করে হজরত ইবরাহিম, হজরত ইসহাক, হজরত ইয়াকুব, হজরত জাকারিয়া, হজরত ইয়াহইয়া, হজরত ঈসা, হজরত দাউদ, হজরত সোলায়মান আলাইহিমুস সালাম।
মিরাজের রাতে আমাদের প্রিয় নবী হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মসজিদে ভ্রমণ করেছিলেন।
মসজিদে আকসা মুসলিমদের প্রথম কিবলা। এখানে নামাজ অন্য মসজিদের চেয়ে (মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী ব্যতিত) পাঁচশত গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া যায়।
-আল কুদস অনলাইন অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমএইউ/