পবিত্র মাহে রমজানের ফযিলত সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া কোরআনিয়া মুমিনবাড়ী মাদরাসার মুহ্তামিম হাফেজ মাওলানা ক্বারী মো. আশরাফ আলী খান।
মাওলানা ক্বারী মো. আশরাফ আলী খান আরও বলেন, রমজানের এমন গুরুত্বের কারণে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের দুই মাস পূর্বে অর্থাৎ রজব ও শাবান মাস থেকে সাহাবিদের রমজান মাসের প্রস্তুতি নিতে তাগিদ দিয়েছেন।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! রজব এবং শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করেন এবং রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত দান করেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনো বিপদ-আপদে পড়লে দিশেহারা হয়ে যাই। এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। সর্বাবস্থায় ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। যে কোনো কাজে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। তাহলেই আমরা সঠিক পথের সন্ধান পাব।
রমজান মাসে আমাদেরকে রাসূল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়া জন্য বলেছেন।
দোয়াটি হলো- আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নায়ুজুবিকা মিনান্নার। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাত দান করেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।
এ ছাড়া রমজান মাসে হালাল রিজিক গ্রহণ, জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, তারাবি আদায়, সম্ভব হলে অর্থ বুঝে কোরআন তেলাওয়াত করা, জাকাত দেওয়া, রোজাদারের খেদমত করা প্রয়োজন।
আল্লাহ সবাইকে রমজানের মর্যাদা রক্ষায় এসব আমল করার তওফিক দান করুন। আমিন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এমএইউ/