খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ যেন নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি অসাধারণ কারুকাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
খুবি সূত্রে জানা যায়, নান্দনিকতায় অনন্য খুবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ১৪৫০০ বর্গফুট আয়তনের একতলার এক গম্বুজ বিশিষ্ট। এ গম্বুজটি খুলনাঞ্চলের সর্ববৃহৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবদুল কাদির ভূঁইয়া ২০০৩ সালে এ মসজিদটির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের তৎকালীন শিক্ষক মুহাম্মদ আলী নকী মসজিদটির প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করেন। তবে, মসজিদের প্রাথমিক ভিত্তির কাজ শুরুর পর দীর্ঘদিন আর এর নির্মাণকাজ এগোয়নি। বর্তমান উপাচার্য মসজিদের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরুর এবং তা শেষ করার নিরন্ত উদ্যোগ নেন। এ সময় মসজিদটির নকশার কিছুটা পরিবর্তন সাধন করে পূর্ণাঙ্গ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কটকা স্মৃতিসৌধের অদূরে প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে এ মসজিদটির অবস্থান। এর অদূরেই রয়েছে ছাত্রদের তিনটি হল, যথাক্রমে: খানজাহান আলী হল, খানবাহাদুর আহছানউল্লা হল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। অপরদিকে মসজিদটির উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবন, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন এবং কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। ফলে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে এ মসজিদে নামাজ আদায়ে সুবিধা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের সংখ্যা বাড়ছে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। যে কারণে একটু বড় করে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রীদের একটি দাবি ছিল তাদের একটি নামাজের জায়গা। ভিসি স্যারের কাছেও তারা এ দাবি করেন। ভিসি স্যার মসজিদ উদ্বোধনের দিন মেয়েদের জন্য নামাজের জায়গা করার নির্দেশ দেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি সাইড করে দিয়েছি। সেখানে আলাদা ওজুখানা রয়েছে। যাওয়া আসার আলাদা রাস্তা রয়েছে। ক্লাস করতে করতে নামাজের সময় হলে ছাত্রীরা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকেলে ঘুরতে আসা অন্যান্যরা সেখানে গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন।

খতিব বলেন, বর্তমান উপাচার্য মসজিদের মধ্যে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা এক কথায় বলা যায় আমার জানা মতে পদ্মার এ পাড়ে কয়েকটি মসজিদে এ সুবিধা রয়েছে। নারীরা জামাতে নামাজ পড়তে আসেন না। তবে নামাজের সময় হলে নারীরা মসজিদে এসে নামাজ পড়তে পারেন। তাদের জন্য আলাদা আসা যাওয়ার রাস্তা, ওজুখানা রয়েছে। এর ফলে অনেক ছাত্রী সহজেই নামাজের জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। মসজিদে সরকারি নিয়ম অনুসারে খতম তারাবি হচ্ছে। মসজিদের সৌন্দর্য কোরবানির আগে দৃশ্যমান হবে আরও বেশি। সামনের অংশটা আরও সুন্দর করা হবে। কাজটি রোজার আগে শুরু করা যায়নি। রোজার পরে শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এমআরএম/এএটি