ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

রমজানে কলকাতার সেহরির একখণ্ড চিত্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
রমজানে কলকাতার সেহরির একখণ্ড চিত্র

কলকাতা: গভীর রাত। তখনও শহর কলকাতার  সিংহভাগ নাগরিক বিচরণ করছেন স্বপ্ন নগরীতে।

ল্যাম্প-পোস্টের উজ্জ্বল সাদা আলোয় ঝকঝক করছে কলকাতার রাজপথ। সেই আলো ভেদ করে দ্রুতগতিতে মাঝে-মধ্যে ছুঁটে আসছে কোনো গাড়ি। গাড়ির সেই হেড লাইটের আলোয় প্রতিফলিত হচ্ছে ঝিমিয়ে পড়া রুপালি ট্রাম লাইন। শহরের নীরবতা ভাঙছে কোনো গাড়ির হর্নের শব্দ। তাতেই কেঁদে উঠছে ফুটপাতের এক শিশু।

সিয়াম সাধনার মাসে এমনই এক গভীর রাতে কলকাতার অলি-গলি ঘুরে দেখা গেল সেহরির সময়ের রূপ।  
কলকাতায় রাত জেগে মুসল্লীরা যান মসজিদে। উপসনা শেষে সেহেরি করেই বাড়ি ফেরেন অনেকে।

কলকাতার সেহেরি রূপটা একটু ভিন্ন। খুব কম মুসলমান বাসায় সেহেরি সারেন। রেস্টুরেন্টের টাটকা এবং গরম খবারই পছন্দ তাদের।  

রমজান মাসে রাত ৩টায় কলকাতার বেগবাগান অঞ্চলের রেস্তোরাঁ সাইকায় গিয়ে দেখা যায়, কর্তা থেকে কর্মচারী সবাই ব্যস্ত।  
তারা টেবিলে টেবিলে দিয়ে চলেছেন পুরি, হালুয়া, সবজি, চিকেন কারি, গরুর কলিজা, ভুনা, স্টু, ভাত, রুটি, ডাল, তরকারি, ফিরনি, মিষ্টি আরো কত কী! কেউ ব্যস্ত বিলের টাকা নিতে।  

চিত্রটা একই কলকাতার পার্কসার্কাস, রিপনস্ট্রিট, রফি আহমেদ খিদওয়াই রোড, মার্কুইস্ট্রিটেও।  
ঢাকা থেকে ঈদের শপিং করতে কলকাতায় এসেছন সোহেল। লাইন দিয়ে তিনিও পুরি সবজি কিনছেন পরিবারের জন্য। তার কথা, ঢাকায় আমরা বাসায় সেহেরি করি। কিন্তু এখানে তো কিনেই করতে হবে। বেশ ভালো লাগছে। কলকাতার পুরিটা অন্যরকম, এখানে সবাই সবজি বা অন্য কিছু দিয়ে খায়। আমরা তো শুধু খাই। এটা অনেকটা লুচির মতো। পুরি-সবজি- মাটির ভাড়ে চা! বেশ মজা।

মসজিদ থেকে ভেসে আসছে ফজরের আজান। দূর থেকে ভেসে আসছে পাখিদের কলতান, খবরের কাগজ বয়ে নিয়ে যাওয়া হকারের সাইকেলের ক্রিংক্রিং বেল। আর কিছুক্ষণ পর ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়বে শহরের বুকে...

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
ভিএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।