ঢাকা, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আ.লীগ নই: রুমিন ফারহানা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আ.লীগ নই: রুমিন ফারহানা বক্তব্য দিচ্ছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

দিনাজপুর: স্বচ্ছ পথে নতুন রাজনৈতিক দল এলে বিএনপির কোনো অসুবিধা নেই জানিয়ে দলের সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা এবং জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

 

রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশের জন্মের পর যখন সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়ে গেল; কারও রাজনীতি করার ক্ষমতা নেই; ভিন্নমত লালন ও কথা বলার অধিকার নেই তখন সব দল একদলে পরিণত হলো। সেই অবস্থা থেকে দেশে সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার ফিরে এসেছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে।  

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার বাকপ্রতিবন্ধী নারী বাসন্তী মাছ ধরার জাল পরে তার লজ্জা নিবারণ করেছিলেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। সেই অবস্থা থেকে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে পোশাক কারখানা শুরু করে; বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আর দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র এসেছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাত ধরে। নারীরা বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন তার সময়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। ডিসেম্বর না ফেব্রুয়ারি, কখনো আবার জুন! এদিকে আট মাস হয়ে গেলেও এখনও নাকি পুলিশ কাজ করতে চায় না।

রুমিন ফারহানা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানে— অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো জনভিত্তি নেই। তারা জানে—এ সরকার আজকে আছে, কালকে নেই। যে কারণে দলীয় সরকারের সুবিধা হচ্ছে, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলীয় সরকারের একটা ভিত্তি, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকে; যেটা এই সরকার বা অনির্বাচিত সরকারের থাকে না।  

তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের একটা আদেশের জোরে এ সরকার অন্তর্বর্তী বা মধ্যবর্তী সময়ের জন্য এসেছে। সেই সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারটা আমি দেখেছি, আমি একজন আইনজীবী, আমি অর্ডার পড়েছি। বলা হচ্ছে যে এই সরকারটি সাময়িকভাবে দৈনন্দিন রুটিন ওয়ার্ক-সেটা করবার জন্য একটা জরুরি অবস্থার মধ্যে এই সরকারটি দায়িত্ব নিয়েছে। অর্থাৎ এই সরকারের ক্ষমতা এবং কতটুকু কাজ তারা করতে পারবে এটা খুবই সীমাবদ্ধ। সুতরাং চাইলেই আপনি রাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত নেবেন, সব কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন, সব রকম দলের ব্যাপারে আপনি আপনার সিদ্ধান্ত দেবেন—সেই ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট এই সরকারকে দেননি। এই সরকার কেবল দুটি নির্বাচিত সরকার বা দুটি রাজনৈতিক সরকারের মধ্যবর্তী বা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য এসেছে।  

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  

দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, প্রশিক্ষক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন পাভেল, সাত্তার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট শারমিন ফারহানা পুতুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।