ঢাকা, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

দেশে ১০০ ভাগ ভালো কাজের মধ্যে ৭০ ভাগ বিএনপি করেছিল: তারেক রহমান 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
দেশে ১০০ ভাগ ভালো কাজের মধ্যে ৭০ ভাগ বিএনপি করেছিল: তারেক রহমান  ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান

ঠাকুরগাঁও: গার্মেন্টস সেক্টরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো- যেটাই বলেন সেটাই বিএনপি করেছে। দেশের ১০০ ভাগ ভালো কাজের মধ্যে ৭০ ভাগ বিএনপি করেছে।

এটি কাগজপত্র ও কলমের হিসাব। এজন্যই বিএনপির ওপর মানুষ আস্থা ও বিশ্বাস রাখে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ইএসডিও'র প্রধান কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ে জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদেরও লিমিটেশন আছে। বিভিন্ন সমস্যা আছে, ভালো-মন্দ সবকিছু আছে। তার ভেতর দিয়েই আমরা চলছি। তার ভেতর দিয়েই আমরা চেষ্টা করছি কিছু করার। মানুষকে দেওয়া কমিটমেন্টগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য। আমরা যেটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেটা পূরণ করার জন্য  বদ্ধপরিকর।  

আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা এখানে উপস্থিত আছেন তারাও একদিন জনপ্রতিনিধি হতে পারেন।  জনপ্রতিনিধি না হলেও আপনারা তো জনগণেরই অংশ, আপনার মাধ্যমেই আমরা আমাদের ৩১ দফা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই।  

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির মতপার্থক্য আছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশের সংস্কার শুরু করেছিল সেই জিয়ার সময় থেকে। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সময় প্রেসিডেন্সিয়াল ফাউন্ড থেকে সংসদীয় পদ্ধতি। এগুলোতো সংস্কারেরই অংশ।

ধারাবাহিকভাবে আমরা সংস্কার করে আসার চেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছি ও ধারাবাহিকভাবে আমরা সংস্কার করেছি। সেটি শিক্ষা থেকে শুরু করে, প্রশাসন, দেশ পরিচালনা, স্বাস্থ্য, খাদ্য উৎপাদন, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই বিএনপি শুধু সংস্কারে অবদান রেখেছে না সংস্কারও করেছে।  

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সংস্কারের দুইটি বিষয় দিয়েছি কার ক্ষমতা বাড়বে কার ক্ষমতা কমবে। কৃষি নিয়ে কি হবে, বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে কি হবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ সবগুলো ব্যবস্থা আমরা ৩১ দফায় আনার চেষ্টা করেছি।  

তিনি আরও বলেন, আমি চাপের মধ্যেই সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। যখন নিষ্পেষিত, যখন আমার মহাসচিব জেলে পার্টির চেয়ারপারসন জেলে। দলের হাজারো নেতাকর্মী তখন জেলে। লাখো নেতাকর্মী গায়েবি মামলায় যখন দরজার পেছনে ছিল। অপেক্ষা করছিল ঠিক কোন সময় তারা আবার বেরিয়ে আসবে সংগ্রামে নামবে। ঠিক সেই সময় আমি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।  

এই দলকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের বহু সংগ্রাম বহু পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে। বহু নেতাকর্মী তার জান কোরবান করেছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আজ সেই জায়গায় এসে আমরা দাঁড়িয়েছি। একটা মানুষ শতভাগ সফল নাও হইতে পারে। মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা যা বলেছি তাই করবো ইনশাল্লাহ। যেটা কমিটমেন্ট মানুষের সঙ্গে করেছি আমরা সেটা করব।  

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আমরা সংস্কার শুরু করব আমাদের পরবর্তী জেনারেশন ও নেতাকর্মীরা সেটি চালিয়ে নিয়ে যাবেন। সংস্কার এমন একটি বিষয় যেটি চলমান প্রক্রিয়া।  

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ অনেকে।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভিন্ন নেতা এবং ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।