বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়ক ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে যানচলাচল।
সড়ক ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন।
এদিকে রাত থেকে বৃষ্টি কমে আসায় রাঙামাটির কাঁচালং নদী ও খাগড়াছড়ির প্রধান তিন নদী ফেনী, চেঙ্গি ও মাইনী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। যদিও কিছু এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে।
সোমবার (০২ জুন) দুপুর পর্যন্ত আকাশ মেঘলা ছিল এবং থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
দীঘিনালা-লংগদু সড়কে নিয়মিত চলাচল করা ব্যবসায়ী জমির হোসেন বলেন, চিটাগংপাড়া এলাকা এখনো পানির নিচে। তবে মাইনী নদীর পানি কিছুটা কমেছে, যা স্বস্তিদায়ক।
সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় রয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে হেল্পলাইন খোলা রয়েছে।
লংগদু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে। তবে এসময়ে সবার সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি।
আরএ