বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে। তাদের সঙ্গে কোনো সামাজিক সম্পর্কও রাখা যাবে না।
সোমবার (১৬ জুন) সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
নার্গিস বেগম বলেন, সাংবাদিকদের একটি অংশের নির্লজ্জ দালালি আর তোষামোদির কারণে হাসিনা ১৭ বছরের ফ্যাসিজম টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। বিনিময়ে সেসব সাংবাদিক বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন।
তিনি বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগ আর রক্তের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে হাসিনার সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা এখনো পরিকল্পিতভাবে অপতথ্য প্রচার করছে। এরা ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে এখনো সক্রিয়। এদেরকে চিনে রাখতে হবে।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, শেখ মুজিব গণতন্ত্র হরণ করে দেশে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন তাকে আড়াল করতে দেশের সব মিডিয়া বন্ধ করে তাবেদার চারটি সংবাদপত্র সচল রেখেছিলেন। সেখান থেকে বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
এদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিএনপির হাত ধরেই এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে অনেক সংবাদপত্র আর ইলেকট্রনিক মিডিয়া এসেছে এদেশে।
দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকদের অবদানকেও স্মরণ করেন বিএনপির এই বর্ষিয়ান নেতা। তবে, হাসিনা কিছু সাংবাদিককে বিপথগামী এবং সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে সংহত করার লড়াইয়ে রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জামায়াতে ইসলামী যশোরের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল এবং প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সাংবাদিক নেতা আনোয়ারুল কবির নান্টু, আহসান কবীর, সাইফুর রহমান সাঈফ, সাইফুল ইসলাম সজল, তৌহিদ জামান, এম. আইউব, এস এম ফরহাদ। সঞ্চালনা করেন নূর ইসলাম।
আরএ