ঢাকা, শনিবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

হাতিয়ায় চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৫, আগস্ট ২২, ২০২৫
হাতিয়ায় চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ফাইল ফটো

নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ তারেক আজিজ (৩৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে আটক করেছে।

তবে পুলিশ বলছে, মারধরের পর আতঙ্কে ওই যুবক মারা গেছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো.লোকমান হোসেন (৩৫) শেরপুর জেলার চকপাড়ার সোনারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের কর্মচারী ছিলেন।

আটক তারেক উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের চরহেয়া গ্রারে কামাল উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের কর্মী লোকমান ও মোস্তাফিজুর রহমান (২৮)। তারা দুজনই শেরপুর জেলার বাসিন্দা। উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে তারা তাদের ঠিকাদার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কাজ করার পর বেশ কিছু স্ক্রাব বেঁচে যায়। পরে দুজন স্ক্রাবগুলো উপজেলার চরহিয়া গ্রামের আসাদ নগর ত্রিমোহনীর একটি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে আসেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা তাদের বিক্রি করে আসা মালের ওজন জানতে আবার ভাঙারি দোকানে যায়। সেখানে স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তারেক আজিজসহ তিন ব্যক্তি ঠিকাদারের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলেন। পরে দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করে বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে লোকমানকে লোহার রেঞ্জ দিয়ে হাতে,পিঠে আঘাত করে।  

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ‌আজমল হুদা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দুইজনই বাঁধা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক দুজনের বাঁধন খুললে লোকমান ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই তিনি মারা যান। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, ভয়ে মবের আতঙ্কে মারা গেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আরও জানান, চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। পিঠে ছোট একটি দাগ আছে। আর কোনো আঘাত নেই। ভয়ে আতঙ্কে হার্টফেল করতে পারে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।  

জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।