ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় তাসনিমের মেডিক্যাল পরীক্ষা জয়, সামনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় তাসনিমের মেডিক্যাল পরীক্ষা জয়, সামনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা

পটুয়াখালী কলাপাড়া পৌরশহরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা তাসনিম আহম্মেদ আলাভী। এবার মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় ১১২তম স্থান অধিকার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

কিন্তু তার মেডিক্যালে পড়ার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার।

তাসনিম ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পান।

এরপই বসুন্ধরা শুভসংঘ আলাভীর উচ্চ মাধ্যমিকে লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে সুবাদে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় নটেরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয় সে। চিকিৎসক হওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাসহয়তা অব্যাহত রাখার প্রার্থনা করেছেন আলাভীর মা ফারহানা হক।
 
তাসনিমের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, পড়ার টেবিলে তাসনিম মাথা ঠেকিয়ে চোখ বুঝে অঝোরে কাঁদছে।

ছেলের চেখে পানি দেখে মা ফারহানা হক সান্ত্বনা দিয়ে বলেন ‘আল্লাহ যখন বসুন্ধরা গ্রুপের মাধ্যমে এই পর্যন্ত তোমাকে পড়ালেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আবারও বসুন্ধরা গ্রুপ তোমার পাশে থাকবে। ’
ফারহানা হক বলেন, আমার ছেলেকে আল্লাহ মেধা দিয়েছেন। কিন্তু তাকে লেখাপাড়া করানোর মতো সামর্থ্য দেয়নি। বসুন্ধরা গ্রুপ আমার ছেলে পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে এতদূর পর্যন্ত সে এসেছে।

সামনেও তারা আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।
 
তাসনিম আহম্মেদ আলাভী বলেন, বর্তমানে শারীরিক অক্ষম আমার বাবা। এসএসসি পরীক্ষায় মায়ের স্বর্ণালংকার ও ধার-দেনা করে আমার লেখাপাড়া চলছিল। তখন আমি খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয়েছি। আমার কৃতিত্তের জন্য তখন বসুন্ধরা গ্রুপের শুভসংঘ সহায়তায় পড়ালেখার জন্য আর্থিক অনুদান পাই।

সে সুযোগে আমি এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে নটেরডেম কলেজ ভর্তি ও লেখাপাড়া করে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয়েছি। এখন স্বপ্নের বিদ্যাপিঠ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১১২তম স্থান অধিকার হয়েছি। তবে ভর্তির জন্য যে অর্থের প্রয়োজন আমার মা-বাবার কাছে সেই পরিমাণ টাকা নাই। আমায় লেখাপাড়ার জন্য বিগত দিনে বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে আমার পাশে ছিলেন, ঠিক তেমনি মেডিক্যালে পড়ার জন্যও থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি। কেননা মাটি ও মানুষের কল্যানে কাজ করা এই দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপটি অসহায় মানুষের পাশে থাকে। বসুন্ধরা যদি আবারও আমার পাশে দাঁড়ালে আমি চিকিৎসক হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ এবং দেশের সুনামের জন্য কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

তাসনিমের বাবা মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের লেখাপাড়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে বিগত দিনে বিপুল পরিমাণে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন, তেমনি আমার ছেলেকে ডাক্তার হওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ আবারও সহায়তার হাত বাড়াবে বলে আমার বিশ্বাস। প্লিজ একজন উদীয়মান মেধাবির পাশে দাঁড়ান, আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।