ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন বিতরণ 

ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন অসহায় অসচ্ছল নারীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন অসহায় অসচ্ছল নারীরা

দিনাজপুর: অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপে ২০ জন নারীর হাতে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে মেশিন পেয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগ শুধু অসচ্ছল নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতেই নয়, তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  

তারা আরও বলেন, দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানেরও উচিত বসুন্ধরার এই মানবিক কাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাদের এই মানবিক এবং সামাজিক কাজগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ুক, এই প্রত্যাশাই করি।

সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহি।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন বীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর, বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু, বীরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আমিরুল বাহার, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি রাশেদুন্নবী বাবু, উপজেলা জামায়াতে আমির কারি আজিজুর রহমান ও বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান।  

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী এবং বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ শাখার বন্ধুরা।

সেলাই মেশিন পেয়ে সাথী বেসরা বলেন, আমাদের মাথা গোঁজার কোনো জায়গা ছিল না। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। তখন আমি বসুন্ধরা গ্রুপের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ নিই। আজ সেলাই মেশিন পেয়ে নিজে কিছু করার শক্তি পেয়েছি। এ আয় দিয়ে পরিবারের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপ আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

আরেক সুবিধাভোগী আঁখী আক্তার (২১) বলেন, আমার স্বামী ট্রাকচালক, তবে সংসারের কোনো খোঁজ-খবর রাখে না। তার এই বেপরোয়া অবস্থার মধ্যে সন্তানদের মানুষ করতে আমি এই সেলাই মেশিন পেয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এই আয় দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারব। যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুণ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে। এই প্রশিক্ষণ ও সেলাই  মেশিন শুধু আয়ের পথ তৈরিই করছে না, তাদের জীবনে নতুন আলোর দিশাও দেখাচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।