কোভিড-১৯ টিকা নেননি বলে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গত আসরে খেলতে পারেননি নোভাক জোকোভিচ। দূর দূর করে তাকে তাড়িয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার।
এবার অবশ্য তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা গত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড টিকা সনদপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক আইনটি উঠিয়ে নেয় তারা। যার ফলে জোকোভিচের তিন বছরের নিষেধাজ্ঞাও উঠে যায়। গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছেন তিনি।
আজ অনুশীলন করতে এসে ২১ টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক বলেন, ‘কিছু জিনিস আছে যা আপনি ভুলতে পারেন না, আজীবনের জন্য তা মনে থাকে। এমন কিছুর অভিজ্ঞতা আমার আগে কখনো হয়নি এবং আশা করি ভবিষ্যতেও হবে না। তবে আমার জীবনে মূল্যবান এক অভিজ্ঞতা ছিল এটি, এমন কিছু তা মনে থাকবে, তবে আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ’
অস্ট্রেলিয়ায় আবার ফিরে আসা প্রসঙ্গে জোকোভিচ বলেন, ‘কেবল দুইদিন হলো এখানে এসেছি। হোটেল, বিমানবন্দর ও ক্লাব সব জায়গাতেই মানুষ আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এসে সবসময়ই অসাধারণ লাগে। এখানেই আমি নিজের সেরা টেনিস খেলেছি, প্রচুর সমর্থন পেয়েছি, তাই আশা করছি আরো একটি অসাধারণ গ্রীষ্ম কাটাব এবার। ’
২১ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে জোকোভিচ সবচেয়ে বেশি ৯ টি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। টিকা না নেওয়ায় গতবার ইউএস ওপেনও খেলতে পারেননি। তাই সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা রাফায়েল নাদালকে ছোঁয়ার সুযোগটা হয়ে উঠেনি। এবার অবশ্য সুযোগ আছে। রড লেভার অ্যারিনায় আবারও শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে মুখিয়ে আছেন এই সার্বিয়ান তারকা।
জোকোভিচ বলেন, ‘নিজের ওপর আস্থা রেখেছি আমি এবং বিশ্বাস করি সবগুলো টুর্নামেন্টই জিততে পারব। আমার যে ক্যারিয়ার, তাতে মনে করি এই মানসিকতা আমার প্রাপ্য। এখন পরিস্থিতি অবশ্যই আলাদা। টুর্নামেন্টে অনেক তরুণ খেলোয়াড় এসেছে, প্রজন্মের পালাবদল হচ্ছে তবে পুরনোদের মধ্যে কেবল আমি আর নাদালই শক্তভাবে এগিয়ে চলছি। ’
‘আমি জানি তাদের বিপক্ষে লড়াই করতে এবং শিরোপার দাবিদার হতে কী করতে হবে আমার। অস্ট্রেলিয়ায় সুখের স্মৃতি ও ইতিহাস আছে আমার। যা আমাকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাস জোগাচ্ছে যে আমি আবারও পারব এবং অনেক দূর যেতে পারব। ’
এদিকে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন আসর।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এএইচএস