যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও ক্রীড়া পরিদপ্তর এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২ এর জাতীয় পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আজ (২৯ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফাইনালে বালক বিভগে বরিশাল ও সিলেট বিভাগের খেলাটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে বরিশালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে সিলেট বিভাগ। নির্ধারিত সময়ে সিলেটের পক্ষে গোল করেন ছয়ফুর রহমান। বরিশালের পক্ষে সমতাসূচক গোলটি করেন সাহাদাত গাজী।
বালিকা বিভাগে খুলনা বিভাগকে ২-১ গোলে হারিয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ। রংপুরের পক্ষে একটি করে গোল করেন শীলা আক্তার ও শ্রী শান্তী মার্ডী। আর দ্বিতীয়ার্ধে একটা গোল শোধ করেন মানিয়া।
বালকদের বিভগে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সিলেট বিভাগের ছয়ফুর রহমান, ফাইনাল ম্যাচ সেরা হয়েছেন সিলেট বিভাগের গোলকিপার রাজু মিয়া, টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপার বরিশাল বিভাগের রিয়াজ, ২ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলাদাতা বরিশাল বিভাগের শাহাদাত গাজী।
বালিকা বিভাগে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রংপুর বিভাগের কাকলি, ফাইনাল ম্যাচ সেরা হয়েছে রংপুর বিভাগের শ্রী শান্তী মার্ডী, সেরা গোলকিপার রংপুর বিভাগের শাম্মী আক্তার, চার গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা রংপুরের অধিনায়ক নাসরিন আক্তার।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ক্রীড়া পরিদপ্তর এর পরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন।
ফাইনাল ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন দলকে দেয়া হয় ৩ লাখ টাকা এবং রানার্স-আপ দলকে দেয়া হয় ২ লাখ টাকার প্রাইজমানি। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৪ আনা পরিমান স্বর্ণ এবং রার্নাস আপ দলের খেলোয়াড়দের ৩ ভরি পরিমান রৌপ্যসহ পদক দেয়া হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় সারা দেশের উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেয় মোট ১,১০,৬৬৪ জন বালক এবং বালিকা। প্রতিটি পর্যায় শেষে প্রতিভাবান খেলোয়াড় সুযোগ পায় পরবর্তী পর্যায়ে। সর্বশেষ জাতীয় এই টুর্নামেন্ট শেষে বাছাইকৃত ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকাকে দুই মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই প্রশিক্ষণ থেকে প্রতিভাবান ১৫ জন বালক এবং ১৫ জন বালিকাকে ব্রাজিল অথবা স্পেনে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এআর