একই টুর্নামেন্ট, একই ভেন্যু প্রতিপক্ষও একই। তবে কি আরও একবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা আসতে চলেছে বাংলাদেশে? সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ৩০ অক্টোবর।
আজ দিনের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে টাই ব্রেকারে ১-১ (৪-২) হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে নেপাল। ২০২২ সালে এই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েই শিরোপা ঘরে তুলেছিলেন সাবিনা - সানজিদারা।
আজ ভারত - নেপাল সেমিফাইনাল ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তায় ভরা। ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার দশরথ রঙ্গশালা ছিল দর্শকে ঠাসা। ম্যাচ চলাকালে কয়েক দফায় গ্যালারি থেকে বোতল ছুড়ে সমর্থকরা। খেলা বন্ধ হয় বার কয়েক। উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে ডেডলক ভাঙে। ভারতকে লিড এনে দেন সঙ্গীতা বাসফোর। বক্সের বাইরে থেকে লম্বা শটে স্বাগতিকদের জালে বল জড়ান মাঝমাঠের এই ফুটবলার।
গোলের পর উদ্যাপনের জন্য সীমান্ত লাইনে চলে যায় ভারতের মেয়েরা। ডাগআউটের খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগিতে মত্ত যখন তারা, তখনই হাস্যকর কাণ্ড ঘটায় পিছিয়ে পড়া নেপাল। স্বাগতিক মেয়েরা বল নিয়ে সেন্টারে চলে যান। রেফারিও খেলা শুরু করার জন্য বাঁশি বাজান। বিক্ষিপ্তভাবে থাকা ভারতের খেলোয়াড়রা নিজেদের গোলের দিকে আসতে আসতে দূরপাল্লার শটে গোল আদায় করেন নেপালের সাবিত্রা ভাণ্ডারি। উদযাপনে মেতে ওঠে স্বাগতিক নেপালের পুরো স্টেডিয়াম। এ সময় ভারতের খেলোয়াড় এবং ডাগআউটের সবাই প্রতিবাদ শুরু করেন। ভারতের গোলের আনন্দ তখন হতভম্বকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। এরপর খেলা শুরু হলেও মিনিটের মধ্যে খেলা বন্ধ করতে হয় রেফারিকে।
দীর্ঘসময় (৬৫ মিনিট) খেলা বন্ধ থাকে। ১৩৯ মিনিটের মাথায় নেপালের গোল বাতিল করে খেলা শুরু হয়। পরের মিনিটে এবার সেই সাবিত্রা ভাণ্ডারিই গোল করে পুরো নেপালকে আনন্দে ভাসান। সমতায় ফিরিয়ে জার্সি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন তিনি। একদৌড়ে সীমানার বাইরে চলে যান। উদ্যাপন করেন সতীর্থদের নিয়ে। লাথি মেরে আঘাত করেন সাইট বারে। নিয়মানুযায়ী হলুদ কার্ড দেখেন।
রেখা প্যাডেলকে হারানোর (৫০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি) পরও ১০ জনের নেপাল শেষ পর্যন্ত খেলা জিইয়ে রাখে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-২ গোলে হারায় নেপাল।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
এআর/এসএএইচ