রংপুর রাইডার্সের জয়রথ যেন থামছেই না। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বেশ বিপদে পড়লেও শেষ অবধি জয় পেয়েছে তারা।
সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে রংপুর। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। এ নিয়ে সাত ম্যাচের সবগুলোতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে আছে রংপুর।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে কেবল ১৯ রান। স্টিভেন টেলরকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। তিনে নামা সাইফ হাসানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১ বলে ৭ রানে হাসান মাহমুদের শিকার হন তিনি।
থিতু হলেও তৌফিক খানকে ফিরতে হয় ৩০ বলে ৩৬ রান করে। রনির বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার।
রংপুর ৭০ রানে ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ১১৫ রান যোগ করেন খুশদিল-ইফতিখার। সেই জুটি থামে হাসানের বলে ইফতিখার এলবিডব্লিউ হলে। ৩৬ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করেন এই ব্যাটার। তবে তার স্বদেশি খুশদিল অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৩৫ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রনি ও হাসান।
রান তাড়ায় নেমে চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ফেরেন খুলনার ওপেনার দারউইশ রাসূলী। ১৫ বলে ১৭ রান করে আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তাদের ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। তার ওভারে ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান মিরাজ।
এরপর ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৫৮ রান করে মাহেদী হাসানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তবে ততক্ষণে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে খুলনা টাইগার্স। আফিফ হোসেন পরে ওই পথেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
কিন্তু ম্যাচ হুট করে জমে উঠে ১৫ বলে ২৯ রান করে আফিফ হোসেন যখন মাহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন। এরপর ১২ বলে ১৫ রান করে আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও।
এরপরই ম্যাচ জমে উঠে। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান ইমরুল কায়েসও। এরপর শেষ ওভারে দরকার হয় ১২ রান। কিন্তু তিন উইকেট হারিয়ে তিন রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আকিফ জাভেদ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
এমএইচবি/এএটি