ঢাকা, শনিবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

খেলা

আট মৌসুমে ১৪ ট্রফি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০০, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫
আট মৌসুমে ১৪ ট্রফি বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের শিরোপা উদযাপন | বাংলানিউজ ফাইল ছবি

ইতিহাস পিছু ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংসের। একের পর এক শিরোপা জিতেই চলেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্লাবটি।

পেশাদার ফুটবলে ২০১৮-১৯ মৌসুমে অভিষেকের পর এরই মধ্যে কিংসের শোকেসে বন্দি ১৪ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। ঘরোয়া ফুটবলে সর্বাধিক ট্রফি জেতা না হলেও মাত্র আট মৌসুমে এত শিরোপা কোনো ক্লাবই জিততে পারেনি।

১৯৪৮ সালের ঘরোয়া ফুটবলের যাত্রা। ঢাকা মোহামেডান ১৯৫০ সাল থেকে খেলছে। পুরোনো দল হিসেবে স্বাধীনতার আগে ও বাংলাদেশ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০টি ট্রফি জিতেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এর মধ্যে লিগ ২০, আগাখান গোল্ড তিন, ফেডারেশন কাপ ১১, স্বাধীনতা কাপ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। পাকিস্তান আমলে ৬ ও বাংলাদেশে স্বাধীনতা কাপে তিনবার চ্যাম্পিয়ন। ডামফা কাপ দুই, জাতীয় লিগ দুই, সুপার কাপ দুই ও মা-মণি গোল্ড কাপে একবার ট্রফি জিতেছে সাদা-কালোরা।

ঢাকা আবাহনীর অভিষেক ১৯৭২ সালে। ৫০ বছরের পুরোনো এ ক্লাবটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭টি ট্রফি জিতেছে। এর মধ্যে লিগ ১৭, ফেডারেশন কাপ ১২, স্বাধীনতা কাপ দুই, লিবারেশন কাপ এক, বিটিসি কাপ এক, জাতীয় লিগ এক, সুপার কাপ এক, স্বাধীনতা কাপ এক ও বিজয় দিবস একবার চ্যাম্পিয়ন।

বসুন্ধরা কিংসই একমাত্র ক্লাব যারা অভিষেক আসর থেকে টানা পাঁচবার লিগ জিতেছে। ফেডারেশন কাপ চার, স্বাধীনতা কাপ তিন ও চ্যালেঞ্জ কাপ দুবার মিলিয়ে ১৪ ট্রফি ঘরে তুলেছে তারা।

আট মৌসুমের সবেমাত্র যাত্রা হলো। এরই মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ ট্রফির জেতার মালিক কিংস। ঘরোয়া ফুটবলে অনেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের মতো অল্প সময়ে এত ট্রফি কেউ জিততে পারেনি। এ এক অন্য ইতিহাস।

চ্যালেঞ্জ কাপ দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ান নতুন রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে কিংসের। এবারের মৌসুমে লিগ, ফেডারেশন কাপ, সুপার কাপ ও স্বাধীনতা কাপ রয়েছে। যদি পাঁচ বা চার ট্রফিও জেতে তা হবে ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়ার পর আরেক নতুন ইতিহাস। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ট্রেবল জেতার রেকর্ড রয়েছে কিংস, শেখ রাসেল ও মোহামেডানের। দেখা যাক বসুন্ধরা আরেক ইতিহাস লিখতে পারে কি না।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।