উত্তরের জেলা রাজশাহীতে বিপিএল করতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রোববার (১২ অক্টোবর) রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামের অবকাঠামোসহ সব সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন বিসিবির তিন শীর্ষ কর্মকর্তা।
সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের মধ্যকার ক্রিকেট সিরিজে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় হয়। এতে রাজশাহীতে বিপিএল করার পুরোনো আলোচনা আবারো ত্বরান্বিত হয়। এরপর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল রাজশাহী স্টেডিয়ামে এসে মনোমুগ্ধকর পিচ, আউটফিল্ড দেখে বিপিএল করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে নতুন কমিটি, উত্তরের এ জেলাটিতে বিপিএল করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সচেষ্ট হন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামের অবকাঠামোসহ সব সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন বিসিবির তিন শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান শাহনিয়ান তানিম, পরিচালক (অডিট) মোখলেসুর রহমান শামীম, পরিচালক খালেদ মাসুদ পাইলট।
এদিনে সকালে কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন, ১২০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন প্রেস গ্যালারি, ধারা ভাষ্যকার বক্স, স্টুডিও, স্কোর রুম, দুটি রেডিও রুম, ডাউনলিংক রুম, ব্রডকাস্ট পিসিআর রুম, ব্রডকাস্ট ও প্রেস ডাইনিং, জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া ২০টি মোবাইল টয়লেটসহ গ্যালারির টয়লেট সংস্কার, স্টেডিয়াম সার্কুলার রোডের উন্নয়ন ও পুরো স্টেডিয়ামে রং করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম স্থানান্তরিত করে প্যাভিলিয়নের নিচতলায় এবং ফ্লাডলাইট সংস্কারেরও সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান শাহনিয়ান তানিম বলেন, বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে এই স্টেডিয়ামের ৭০ শতাংশ সক্ষমতা আছে। আগামী এক মাসে বাকিটা করার পরিকল্পনা তাদের। তারা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আগামী সমন্বয় সভায় তা পর্যালোচনা করা হবে। এতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে সংস্কার ব্যয় এবং কাজের সময়সূচি তৈরি করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
মাঠ পরিদর্শন শেষে খেলোয়াড়সহ সংশ্লিষ্টদের থাকার জায়গা, অনুশীলনের মাঠসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা দেখেন বিসিবি কর্মকর্তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় এই স্টেডিয়ামে বিপিএলসহ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করতে এর আগে অন্তত নয়বার এমন আনুষ্ঠানিক পরিদর্শন করেছে বিসিবি। সেসব পরিকল্পনা আর প্রতিবেদন ফাইলে বন্দি থাকায়, বাস্তবায়ন হয়নি।
এএটি