এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে পৌঁছানোর স্বপ্নটা শেষ পর্যন্ত ধরা দিল না বাংলাদেশের কিশোরীদের। চাইনিজ তাইপের ড্র করলেই মূলপর্ব নিশ্চিত হতো, আর বাংলাদেশের সামনে ছিল জয় ছাড়া বিকল্প কিছু নয়।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫২ ধাপ এগিয়ে থাকা চাইনিজ তাইপে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। খেলার মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় তারা। বাংলাদেশের ডিফেন্ডার সুরভী রানীর ফাউলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে উ চাই জুয়াঙ নির্ভুল শটে গোল করেন (১-০)। গোলরক্ষক মেঘলা রানী ঝাঁপিয়ে পড়লেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
গোল হজমের পর কিছুটা ছন্দ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নিজেদের অর্ধে বারবার চাপে পড়ে যায় লাল-সবুজরা। যদিও ১৫ মিনিটের পর বা প্রান্ত দিয়ে মামনি চাকমার কয়েকটি গতিময় আক্রমণে প্রতিপক্ষ রক্ষণে কিছুটা দোলা লাগে, কিন্তু তার ক্রস বা পাসগুলো পৌঁছায়নি ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতির কাছে।
২৮ মিনিটে আরেকটি বড় সুযোগ তৈরি করে চাইনিজ তাইপে। চঙ উ শিনের শট মেঘলার পায়ে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি শটও তালুবন্দি করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। কিন্তু ৩৪ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি প্রায় মাঝমাঠ থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকে বক্সের ভেতর চুঙ উন চেইনের প্লেসিং শটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় (২-০)।
এর কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশের একমাত্র গোল পাওয়ার সুযোগ আসে। মামনি চাকমার ক্রসে প্রীতি বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালীভাবে মাঠে নামে চাইনিজ তাইপে। ৬৬ মিনিটে ওয়াং ই-আইয়ের নিখুঁত শটে ব্যবধান বাড়ে ৩-০ তে। এরপর যোগ করা সময়ে গোলরক্ষক মেঘলার ভুলে চতুর্থ গোলটি হজম করে বাংলাদেশ। শেষ মিনিটে আরেকটি গোল করে ৫-০ ব্যবধান নিশ্চিত করে প্রতিপক্ষ।
পুরো ম্যাচেই তাইপের মেয়েদের গতি, পাসিং আর ফিনিশিংয়ের সামনে সংগ্রামী মনে হয়েছে টিটুর শিষ্যদের। শেষ বাঁশি বাজার পর কিশোরীদের চোখে-মুখে ছিল হতাশা, কারণ এই হারেই থেমে গেল তাদের এশিয়ান কাপের মূলপর্বের স্বপ্ন।
এআর