ঢাকা: কোপা দেল রে’র শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল স্প্যানিস জায়ান্ট বার্সেলোনা। নিজেদের ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে কাতালানরা আতিথ্য দিয়েছিল এলচেকে।
ম্যাচের শুরুর একাদশে লুইস এনরিক বার্সাকে ৪-৩-৩ ফরমেটে খেলাতে থাকেন। বার্সার হয়ে এ ম্যাচে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন লিওনেল মেসি, নেইমার, লুইস সুয়ারেজ, দানি আলভেজ, পিকে, জরদি আলবা আর মাসচেরানোর মতো তারকারা।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে বার্সার ব্রাজিলিয় তারকা দানি আলভেজ। মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক এলচের গোলরক্ষক টিটোন রুখে দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে বল পান আলভেজ। কিন্তু ডি বক্সের বাইরে (৩০ গজ দূরে) পাওয়া বলে আলভেজ ফাঁকা গোলবারে যে শটটি নিয়েছিলেন, তা গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এর দুই মিনিট পরেই মেসি গোলবার লক্ষ্য করে জোড়ালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু এবারো প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক টিটোন প্রতিহত করেন। খেলার ২৭ মিনিটের মাথায় সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। মেসির বাড়ানো বলে নেইমার গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু টিটোনের মাথার উপর দিয়ে মারা বলটি গোলবার ঘেঁষে চলে যায়।
অবশেষে খেলার ৩৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সা। লিড নেওয়া গোলটিতে দেখা যায় মেসি, নেইমার আর সুয়ারেজের কম্বিনেশন। মেসি বল বাড়ান সুয়ারেজকে লক্ষ্য করে, তবে তা গিয়ে পড়ে রেকিটিকের পায়ে। এরপর বল পান সুয়ারেজ। উরুগুয়ের এ তারকা গোলবারের ডানপাশে থাকা নেইমারকে পাস দিলে গোল আদায় করে নেন ব্রাজিল অধিনায়ক।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সুয়ারেজ। প্রতিপক্ষের দু’জন ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষক টিটোনের মাঝ দিয়ে ডানপায়ের জোড়ালো শটে গোলটি করেন সুয়ারজ। এরপরের মিনিটেই নেইমার আবারো গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। এক মিনিট পরে মেসির একটি গোল অফসাইটের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
তবে, প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নেইমারকে অবৈধভাবে নিজেদের ডি বক্সে ফেলে দেয় এলচের এক খেলোয়াড়। ফলে, পেনাল্টির সুযোগ পায় বার্সা। আর সে সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগান মেসি। বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
বিরতি থেকে ফিরে ৫০ মিনিটের মাথায় মেসির বাড়ানো বলে আবারো টিটোন বাধা পেরুতে পারেননি নেইমার। এবারো গোলরক্ষককে একা পেয়েও তাকে ফাঁকি দিতে পারেননি ব্রাজিল তারকা।
পাঁচ মিনিট পরেই মেসির অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলকে চতুর্থ গোলের স্বাদ পাইয়ে দেন জরদি আলবা। ৫৫ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজ বল বাড়িয়ে দেন মেসিকে। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে বল পাঠিয়ে দেন আলবাকে উদ্দেশ্য করে। আর তা থেকে গোল আদায় করে নিতে বেগ পেতে হয়নি গত লা লিগার ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করে দলকে পরাজয়ের লজ্জায় ফেলা আলবা।
৫৯তম মিনিটে নেইমার তার দ্বিতীয় গোলটি পূর্ণ করেন। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেইমারের দূর পাল্লার জোড়ালো শটটি এলচের জালে জড়ালে বার্সা তার পঞ্চম গোলটি পায়। তবে, গোলটি হওয়ার আগে এলচের ফুটবলার রোকোর পিঠে আলতো ছোঁয়া লেগে যায়।
৮১ মিনিটের মাথায় সুয়ারেজের দারুণ একটি পাস থেকে বল পাওয়া নেইমারের বদলি হিসেবে খেলতে নামা পেদ্রো গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। টিটোনের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন গোলবারের পাশ দিয়ে।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক হিসেবে খেলতে নামা বার্সেলোনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি ২০১৫